বৃষ্টি বেশি হলে ডুবতে পারে ঢাকাও: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
১৯ জুন ২০২২ ১৮:১৪
ঢাকা: যানজটে নাকাল ঢাকাবাসীর আরেক দুর্ভোগের নাম জলাবদ্ধতা। বর্ষাকাল এলে যানজটের সঙ্গে যোগ হয় জলজট। এই দুই জটে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। রাজধানীর জলাবদ্ধতা কমাতে এরই মধ্যে ওয়াসার আওতায় থাকা ২৬টি খাল দুই সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবার জলাবদ্ধতা কম হতে পারে মন্তব্য করে বলেছেন, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে এবং উঁচু অঞ্চল থেকে অনেক বেশি পানি নেমে আসলে ঢাকাও প্লাবিত হতে পারে। তবে আমারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
রোববার (১৯ জুন) ঢাকা ও চট্রগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ৩য় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিম্মাঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে যে দ্রুত কমে যাবে বিষয়টি তা নয়। কিছু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত নতুন ওয়ার্ডগুলো বেশিরভাগই নিম্মাঞ্চল। সেখানে অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। যা নিরসনে চার হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অনেকটা সুফল পাওয়া যাবে।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনো ঢাকায় যতগুলো খাল আছে সেগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার সুফল মানুষ পেতে শুরু করেছে। যদিও এসব খালের অনেক অংশ অনেকে দখল করে নিয়েছে, যা দখলমুক্ত করা কঠিন।
ভারি বৃষ্টিপাতে রাজধানীর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হলে সরকারের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলেন, ১০০ বছর বা তার থেকে বেশি বছরেও হয়তো এমন দুর্যোগ আসে। বাংলাদেশের মানুষ এমন দুর্যোগ মোকাবেলায় অভ্যস্ত।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি সবসময় থাকে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, বন্যা মোকাবিলায় যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। পরে প্রয়োজনে আরও সময় বাড়ানো হবে।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ