আমরা ৫০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকব: শেখ সেলিম
১৯ জুন ২০২২ ১৯:১৪
ঢাকা: বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘ওরা বলে আওয়ামী লীগকে টেনে নামাবে। আওয়ামী লীগকে টানা আরম্ভ করছে ২০০৯ সাল থেকে। তোরা যত টানবি আমাদের ক্ষমতা তত বাড়বে। আজকে ২২ সালে আইছি আর একবার টান দিলে একবারে ৫০ সালে চলে যাব। আমরা ৫০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকব। ওরা থাকবে না।’
রোববার (১৯ জুন) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন প্রবীণ এই সংসদ সদস্য। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন চলছিল। সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি বলে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে। শ্রীলংকা হলেই তো ওরা খুশি হয়। পাকিস্তান বানাবি? বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে! বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি খুব মজবুত। আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ, পাকিস্তান, ভারত দক্ষিণ এশিয়া সব দেশের চেয়ে আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত। বাংলাদেশ কখনও শ্রীলংকা হবে না, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হবে, মালয়েশিয়া হবে সুইজারল্যান্ড হবে যে ধারায় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে পরিচালিত করছেন। উন্নয়নের যে ধারা অব্যাহত রেখেছে, সেই ধারায় বাংলাদেশ হবে সুইজারল্যান্ড।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওরা (বিএনপি নেতারা) বলে আওয়ামী লীগকে টেনে নামাবে। আওয়ামী লীগের টানা আরম্ভ করছে ২০০৯ সাল থেকে। তোরা যত টানবি আমাদের ক্ষমতা ততো বাড়বে। আজকে ২০২২ সালে আইছি, আর একবার টান দিলে একবারে ৫০ সালে চলে যাব। আমরা ৫০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকব, ওরা থাকবে না।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্র আইনের শাসন মানবাধিকারের কথা বলে। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ শিশু নারীকে হত্যা করেছে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ, জেল হত্যার বিচার বন্ধ করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করছে ২২ হাজার যুদ্ধাপরাধী তারা জেলে ছিল তাদের বিচার হচ্ছিল। সেই ২২ হাজার ৫০০ যুদ্ধাপরাধীকে জিয়াউর রহমান মুক্ত করে সাধারণ ক্ষমা করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়েছিল নিজেকে রক্ষা করার জন্য। জিয়াউর রহমান সংবিধান স্থগিত করে সামরিক অধ্যাদেশ ফর্মান দিয়ে দেশ পরিচালনা করেছে তাদের মুখে গণতন্ত্র? কিসের গণতন্ত্র? সামরিক গণতন্ত্র? এই দেশে আর কোনো দিন সামরিক জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্র হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেশের জনগণের ইজ্জত নষ্ট করে আর বিদেশিদের কাছে ধরনা ধরে। বিদেশিরা বাংলাদেশের কোনো কিছু করতে পারবে না। বাংলাদেশের ভাগ্য বাংলাদেশের জনগণ নিয়ন্ত্রণ করবে কোনো বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করবে না।’
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক দাবির জবাবে শেখ সেলিম বলেন, ‘ওরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় সরকারের কথা বলে। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশে যেমন সংবিধান অনুসারে হয় যেমন ব্রিটেন আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া ভারত এবং অন্যান্য দেশে যেমন নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেই ভাবেই নির্বাচন হবে। আর কোনো দিন জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ না ভোট হবে না। আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশনও আর হবে না। ইয়াজ উদ্দিন মার্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকারও আর হবে না। ওরা কি না করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওরা একদিন বলল এক নম্বর নারী মুক্তিযোদ্ধা খালেদা জিয়া। ঢাকা ক্যান্টমেন্টে কর্নেল জানজুয়ার সঙ্গে ছিল। সেখানে খালেদা জিয়ার ৯ মাস খাটল সে হলো নারী মুক্তিযোদ্ধা। ৯৩ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার কথা ছিল জানজুয়া তারমধ্যে একজন। জানজুয়া যখন মারা যান খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী সেই জানজুয়াকে সমস্ত কূটনৈতিক নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত হয়ে তাকে শোক প্রস্তাব পাঠান। এই হলো বিএনপির চরিত্র। দেশে বন্যা হচ্ছে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে সরকার চেষ্টা করছে আমাদের নেতাকর্মী সবাইকে বলব বিপদ আসবে আমাদের সবাইকে বিপদ মোকাবিলা করতে হবে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে