ভুয়া হাজিরা দাখিল গৃহকর্ত্রী সুমির জামিন বাতিল, পরোয়ানা জারি
২০ জুন ২০২২ ১৬:০১
ঢাকা: গৃহকর্মী ফারজানা আক্তাকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমির জামিন বাতিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান মিয়া জামিন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই আসামি পূর্বের আত্মসমর্পণ করার সময় জামিনের আবেদনে যে স্বাক্ষর করেছিলেন আজকে দেখি অন্যরকম স্বাক্ষর। এ জন্য আদালতে ভুয়া হাজিরা দেওয়ার কারণে আইনজীবীকে কারণ দর্শানো ও জামিন বাতিলের আবেদন করি। শুনানি আদালত আসামি গৃহকর্ত্রী সুমির জামিন বাতিল করেন। এ ছাড়াও আইনজীবীকে এই রকম হাজিরা দাখিলের জন্য সর্তক করেছেন।’
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর বড় মেয়ে ফারজনা (১৫) কে ২০১৫ সালে থাকা-খাওয়া মাসিক দুই হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তিতে সামিয়া ইউসুফ সুমি (৩২) এর বাসায় কাজে দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় মেয়ে ফোনে জানায় বিবাদী সুমি তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে, মারধর করে এবং খাবার দেয় না। পরবর্তীতে গত ১৭ জনুয়ারি বিবাদী সুমি ফোনে জানায় বাদীর মেয়ে ফারজানা খুব অসুস্থ। এরপর ওইদিনই স্ত্রী জোছনা বেগম (৩৫) সহ বিবাদীর বাসায় গিয়ে ফারজানা (১৫)কে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। লোকদের সহায়তায় মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হলে মেয়ে জানায় যে, কাজে যোগদান করার পর থেকেই বিবাদী সুমি বাদীর মেয়েকে বিভিন্ন তুচ্ছ কারণে মারপিট করত। পেটের দায়ে সব অত্যাচার নীরবে সহ্য করে আসছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৫ জানুয়ারি ঘর গোছানো ও বাসনপত্র ভেঙে ফেলার মিথ্যা অভিযোগে এবং কাজে দেরি হওয়ার তুচ্ছ অজুহাতে বিবাদী সুমি ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি নিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তাকে খুনতি গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেয়। যাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মক পোড়া জখম হয়।
নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী ফারজানা গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৫ দিন রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
সারাবাংলা/এআই/একে