Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিগারেটের দাম বাড়ানোর দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২০ জুন ২০২২ ১৭:০৭

ঢাকা: দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়ি শিল্প রক্ষায় বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন।

সোমবার (২০ জুন) পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করার দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য লুৎফর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটে মূল্যস্তর ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। যা খুবই সামান্য। তাছাড়া সিগারেটে কোনো সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়নি। ফলে বিড়ির বাজার দখলকারী সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে। এ বছর বাজেটে যদি নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা না হয় তবে দেশীয় বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে। নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা বেশি থাকার পরও শুল্ক না বাড়ালে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হবে।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা আরও বলেন, বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প। অন্যদিকে, সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদাদিকৃত ও প্রযুক্তিনির্ভর। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। সিগারেটে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ হলেও বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ। এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে সরেজমিনে পরিদর্শন ছাড়া অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে হবে। দেশের বহু হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙন কবলিত জনগণ ও শারীরিক বিকলাঙ্গসহ সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে এই শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

বিড়ি শ্রমিক মানববন্ধন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর