‘স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে সরকার বদ্ধপরিকর’
২০ জুন ২০২২ ১৮:৫২
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে বিভিন্ন নির্দেশনার আলোকেও শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
লিখিত জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ খাতে দুর্নীতি দূর করতে গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ শৃঙ্খলামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর বিভিন্ন কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে এবং এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিতসহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এখনো দেশ থেকে কোভিড-১৯ পুরোপুরি চলে যায়নি। এরই মধ্যে ধাপেধাপে বিশ্বে মাংকিপক্সের প্রকোপবৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৩ মে থেকে শুরু হয়ে ইতোমধ্যেই ৫১ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সর্বমোট এক হাজার ৬৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পশ্চিমএশিয়ার দেশগুলোর জন্য মাঝারি ধরনের ঝুঁকির কথা জানিয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রায় সকল প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা (টেস্ট) করার সুযোগ রয়েছে। শুধুমাত্র অল্প কিছুসংখ্যক টেস্ট অন্যত্র করার প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে। তবে কোনো চিকিৎসক যদি প্রয়োজনে/অপ্রয়োজনে রোগীদের চিকিৎসা সেবাসংক্রান্ত টেস্টসমূহ নিয়ে কমিশন বাণিজ্যে যুক্ত আছেন বলে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম