গর্ভবতী স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে বিষপান, বড় মেয়ের মৃত্যু
২০ জুন ২০২২ ১৯:৫৯
রংপুর: পীরগাছায় দায়ের কোপে গর্ভবতী স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ৩ বছর বয়সী সুমাইয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ১১ বছর বয়সী সন্তান রাফিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
স্ত্রী-সন্তানকে ধারালো দা দিয়ে কোপানোর পর রশিদুল ইসলাম নিজের গলায় ছুরি চালান এবং একইসঙ্গে বিষপানও করেন।
নিহতের মা ও ছোট বোন গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাবা রশিদুল ইসলামও সেখানে ভর্তি, তার অবস্থাও গুরুতর। গতকাল রোববার (১৯ জুন) রাতে উপজেলার কৈকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২০ জুন) এলাকাবাসী জানান, সন্ধ্যায় পীরগাছার মোংলাকুটির গ্রামে চিৎকার শুনে পাশের বাড়িতে ছুটে যান প্রতিবেশিরা। গিয়ে দেখেন রাফিয়া আক্তার রুমাইয়ার (১১) রক্তাক্ত দেহ বাড়ির উঠানে পড়ে আছে। এসময় তার মা জেসমিন ও ছোট বোন সুমাইয়া রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছিল।
রফিকুলের সঙ্গে তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে জানিয়েছেন প্রতিবেশিরা। তারা জানান, সন্ধ্যার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি থেকে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন রফিকুল। এসময় বড় মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এছাড়া গুরুতর আহত হন স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছোট মেয়ে। পরে রফিকুল বিষপান করেন এবং নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাদের দ্রুত উদ্ধার করেন। পরে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুরেশ চন্দ্র জানান, রশিদুল ও স্ত্রীর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রশিদুল তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মেয়ের মৃত্যু হয়। রশিদুল ও তার স্ত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তিন জনের অবস্থা গুরুতর।
সারাবাংলা/এমও