বিএম কনটেইনার ইয়ার্ডে হতাহতদের ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
২০ জুন ২০২২ ২০:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ইয়ার্ডে আগুন ও বিস্ফোরণে হতাহতদের ৬৯ পরিবারকে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিকপক্ষ স্মার্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হয়।
সোমবার (২০ জুন) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতদের পরিবারের প্রতিনিধিদের কাছে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। চেক গ্রহণ করে স্বজনদের অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত ফায়ার সার্ভিসের ১০ কর্মীর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা, নিখোঁজ তিন জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত অর্থাৎ অঙ্গহানি হয়েছে এমন নয় জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, আহত হয়ে চিকিৎসাধীন পাঁচ জনের প্রত্যেক পরিবারকে ৬ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, বিএম ডিপোতে কর্মরত অবস্থায় নিহত নয় জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আহত আরও কয়েক জনকে দুই থেকে ছয় লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারে যদি কেউ কর্মক্ষম থাকেন, তাহলে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যাদের পরিবারে কর্মক্ষম কেউ নেই, তাদের জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা করা হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ মারুফের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) কবীর আহমেদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, বিএম কনটেইনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত মেজর শামসুল হায়দার সিদ্দিকী, পরিচালক শফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত।
গত ৪ জুন দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এরপর সেখানে কয়েক দফা বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। আহত-দগ্ধ অনেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের অধিকাংশই ডিপো শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারি, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, বিভিন্ন ট্রাক কভার্ড ভ্যানের চালক, হেলপার এবং পুলিশ সদস্য।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম