সাবরিনা-আরিফ দম্পতির সর্বোচ্চ সাজা দাবি
২০ জুন ২০২২ ২২:৫৭
ঢাকা: জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলার সর্বোচ্চ সাজা ২১ বছর ৬ মাস দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (২০ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে এ সাজা দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিদের খালাস দাবি করেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাঝে সাবরিনার আইনজীবী প্রণব কান্তি আদালতকে জানান, এই মামলার এক সাক্ষীকে জেরা করতে পারেননি। তাকে আবার জেরা করার আবেদন করেন তিনি। আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ২৯ জুন ওই সাক্ষীকে জেরার তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস। বর্তমানে সকলেই কারাগারে আছেন।
গত ১১ মে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। গত ২০ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এই চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম