ঢাকা: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধান করতে সাংবাদিকদের প্রতিই আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজে এ বিষয়ে তদন্ত করলে সেটিকে ‘প্রতিহিংসাপরায়ণতা’ বলে অনেকে আখ্যা দেবেন— এমন মন্তব্য করে উষ্মাও প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (২২ জুন) সকাল ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরার পর পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা। পরে প্রশ্নোত্তরেও পদ্মা সেতু সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যেও পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র এবং এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো একটি ফাউন্ডেশনে ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ দিয়েছিলেন— এমন তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে তদন্ত হবে কি না, তা জানতে চান একজন সাংবাদিক।
আরও পড়ুন- ‘পদ্মা সেতু এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগের বড় লিংক’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা তো সাংবাদিক। আপনারাও তো তদন্ত করতে পারেন, কিন্তু তদন্ত করেন না। আপনারা তদন্ত করুন। এক জন ব্যাংকের এমডি হয়ে কোনো ফাউন্ডেশনে এত অর্থ কীভাবে দেন? আপনারা অনুসন্ধান করুন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি (তদন্ত) করতে গেলে তো আবার বলবেন আমি প্রতিহিংসাপরায়ণ। তাই আপনারা খুঁজে বের করলেই ভালো হয়।
ড. ইউনূসের আর্থিক অনিয়ম নিয়ে আরও অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন ব্যাংকে কত টাকা আছে, কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা সরিয়ে নিয়েছেন— সেগুলো খুঁজে বের করুন। কোনো ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্ট করে তার টাকা কীভাবে ব্যক্তিগত হিসাবে চলে যায়? এক চেকে ছয় কোটি টাকা তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা করে সেই টাকা উধাও (ভ্যানিশ) করে দেওয়া হলো!
এসব বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বেশি দিন আগের কথা তো নয়। ২০২০ সালের কথা। অ্যাকাউন্ট নম্বর তো আছেই। আপনারা অনুসন্ধান করুন, তথ্য বের করুন। তারপর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা নেব।