হুইল চেয়ারে আদালতে মামুনুল হক
২২ জুন ২০২২ ১৯:০৬
ঢাকা: ২০১৩ সালে মিরপুর মডেল থানার মোসলে উদ্দিন হত্যা মামলায় মাওলানা মামুনুল হকসহ ১১০ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার সাব-ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলামের জেরা চলমান রয়েছে।
বুধবার (২২ জুন) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৩ আগস্ট অবশিষ্ট জেরার তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
এদিন সকালে মামুনুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। হুইল চেয়ারে করে তাকে আনা হয়। রাখা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায়। দুপুরের দিকে হুইল চেয়ারে করে তাকে এজলাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানান।
জানা যায়, কোমরের ব্যথায় ভুগছেন মামুনুল হক। হাঁটাচলায় তার সমস্যা হয়। এ জন্য তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে আনা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানাধীন কিয়াংসী চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে রাস্তার অপর পাশে মিরপুর থানাধীন ছলিমুদ্দিন মার্কেটের গলির মুখে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ও হাত বোমা ছুরতে থাকে। এতে জখম হন মোসলে উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মোসলে উদ্দিনের মেয়ের জামাই মো. মিন্টু মোল্লা ওই দিনই মিরপুর থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ১১০ জনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/একে