আতঙ্কিত না হলেও করোনা নিয়ে ‘চিন্তিত’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২৭ জুন ২০২২ ০০:৪৪
ঢাকা: দেশে বাড়ছে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ। এমন অবস্থার কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আতঙ্কিত না হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বিতে কলেরা টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা দেশের টার্গে প্রায় সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় এনেছি। এতে সংক্রমণ ১ শতাংশের নিচে চলে এসেছিল। আমাদের মৃত্যু প্রায় শূন্যের কোটায়। কিন্তু এখন আবার সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশে উঠেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, করোনায় মন্ত্রণালয়ের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কার্যালয়েও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া প্রায় শেষ করেছি। আজকের মধ্যে ৭০ শতাংশ নাগরিকের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শেষ হবে। আমরা বেশি বেশি করোনা পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, দেশের কলেরা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় কলেরায় সংক্রমণ দেখা দিলে গ্রামের পর গ্রাম খালি হয়ে যেত। রোগীদের পানি খেতে দেওয়া হতো না। কিন্তু এখন আমরা জানতে পারছি, তারা আসলে পানিশূন্যতা ও পুষ্টিহীনতায় মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে স্যালাইনসহ নানা আবিষ্কারের ফলে কলেরায় মৃত্যু খুবই কম।
সচিব বলেন, দেশে কলেরা মোকাবিলায় আইসিডিডিআরবি,র ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলাসহ নানা গবেষণার মাধ্যমে তারা কলেরাসহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, কিন্তু তা জটিল অবস্থায় যায়নি। এর কারণ করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক কম। সাধারণ কিছু লক্ষণ নিয়ে বাসায় অবস্থান করেই আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তবে সংক্রমণ রোধে আমাদের সতর্ক হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, ডা. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহামিদ আহমেদ, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশন ডিজিজ ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. ফেরদৌসী কাদরীসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর