২০৫৭ সালের মধ্যে উঠে আসবে পদ্মা সেতুর নির্মাণ খরচ— সংসদে কাদের
২৭ জুন ২০২২ ১৮:৫৭
ঢাকা: যানবাহনের টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে ২০৫৭ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় করা অর্থ উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, সেতু থেকে আদায়কৃত টোল হতে ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সরকার প্রদত্ত সমুদয় ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সে—তু কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৭ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য খ. মমতা হেনা লাভলী। জবাবে মন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ ও উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সরকারি দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় দু’টি সেতু হতে টোল আদায় করা হয়ে থাকে। সেতু দু’টি হলো যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ধলেশ্বরী নদীর উপর মুক্তারপুর সেতু। ওই সেতুগুলোতে স্বয়ংক্রিয় ওজন স্কেলের মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর ওজন নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যেসব ট্রাক ওজন স্কেলের নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত পণ্য বহন করে থাকে সেসব যানবাহনকে সেতুতে চলাচল করতে দেওয়া হয় না বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকুর আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, সেতু বিভাগের আওতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নির্দেশনা পাওয়া গেলে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ফোরামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এসব আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরামের সদস্য হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন সড়ক রুট, ‘আঞ্চলিক রুট’ হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এ সব আঞ্চলিক রুটের আওতায় বাংলাদেশের ভেতরে সড়ক করিডোরগুলোর যথাযথ মানোন্নয়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু সড়ক উন্নয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম