Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিতে কমিশন গঠনের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুন ২০২২ ১৩:৩২

ঢাকা: পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে এক মাসের মধ্যে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, আইন, বিচার সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলী। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এ ছাড়া সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী আব্দুন নুর দুলাল শুনানি করেন।

আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটিকে এ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, যারা বিশ্বব্যাংককে প্রভাবান্বিত করে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল তাদের খুঁজে বের করতে হবে। এবং ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এরপর প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ নজরে নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছিলেন।

রুলে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের কেন বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ

পদ্মা সেতু


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর