পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলার পেছনে ইন্ধন কাদের— প্রশ্ন হানিফের
২৮ জুন ২০২২ ১৮:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলে নেওয়ার পেছনে কারও ইন্ধন আছে কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ নম্বর পতেঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ প্রশ্ন রাখেন হানিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে প্রমত্তা পদ্মার বুকে বহুমুখী সেতু নির্মাণ। পৃথিবী আজ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়েছে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের দিকে। অথচ যারা এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশ চায়নি, যারা পদ্মা সেতু চায়নি, তারা আজ ষড়যন্ত্রের অশুভ খেলা শুরু করেছে। প্রশ্ন জাগে, পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলে নেওয়ার পেছনে তাদের ইন্ধন আছে কি না।’
আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকে ধ্বংস করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এত ষড়যন্ত্রের পরও আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়নি। আরও শক্তিশালী হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল নয়, জনগণ। মাছ যেমন পানির মধ্যে পরমায়ু পায়, ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগ জনগণের মাঝে পরমায়ু পেয়েছে। জনগণ যতদিন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় চাইবে, ততদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। যারা অবৈধভাবে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দেওয়ার অপচেষ্টা করবে, জনগণ তাদের ধ্বংস করে দেবে।’
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। এজন্য আত্মতুষ্টি ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের অবকাশ নেই। দেশে-বিদেশে নানামুখী চক্রান্তের জাল বোনা হচ্ছে। আমাদের অগোচরে কোনো অপশক্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।’
সম্মেলনের উদ্বোধক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে এত অর্জন, সাফল্য ও উন্নয়ন আর কোনো সরকারের আমলে হয়নি। অথচ ঈর্ষান্বিত একটি মহল যাদের জন্ম ক্যান্টমেন্টে এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে অতীতে জনগণকে জিম্মি করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে, তারা কিন্তু এসব কিছুই দেখে না, তারা চোখ থাকিতেও অন্ধ।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রের নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী সংগঠনের স্তর ও কাঠামোকে বিনির্মাণ করে চলেছে। আমরা সাংগঠনিক ঐক্য ও শৃঙ্খলাকে যথাযথভাবে অনুসরণ করে চলেছি। এক্ষেত্রে কখনো ব্যত্যয় ঘটতে দেওয়া হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ণাঙ্গ তিনটি এবং তিনটি আংশিকসহ মোট ৬টি আসনে কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত করা।’
পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পতেঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছালেহ আহমদ। ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনীও বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস