‘খালেদার কথায় পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলেছে বায়েজিদ’
২৯ জুন ২০২২ ১৫:৩৯
ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথায় বায়েজিদ পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে নেয় বলে অভিযোগ করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়া তালি দিয়ে বানানো হচ্ছে, আপনারা এতে উঠবেন না। সেই কথা প্রমাণ করতে তারই এক অনুসারী পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে নিয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অসুস্থ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে তারা এমনটা করতে পারে। নাট-বল্টু পদ্মা সেতুর অলংকার। অলংকার নারীর সৌন্দর্য। নারীর অলংকার যদি কেউ খুলে নিতে চায় তাকে আমরা ছিনতাইকারী বলি। পদ্মার নাট-বল্টু খুলে ছিনতাইকারীর মতোন কাজ করেছে। তবে এসব করে আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারবে না।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নাট-বল্টু খুলে নেওয়া ব্যক্তি খালেদা জিয়ার অনুসারী।’ তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে আরও বেশি পরিচিত হতে পারছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পদ্মাসেতু থেকেও বড় প্রজেক্ট চলমান আছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যেটিতে পদ্মা সেতু থেকে চারগুণ বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও পদ্মা থেকে বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর হয়েছে। এসব নিয়ে পদ্মা সেতুর মতো আলোচনা নেই। কারণ পদ্মা সেতু সবার থেকে আলাদা, এটা বাংলাদেশের গর্ব।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ড. মুহম্মদ ইউনূস ছিলেন ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। তার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে যোগ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে।’
তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ বিশ্বের অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। শেখ হাসিনা আমাদের যে জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন সে জায়গায় আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে। আমাদের মাধ্যমে যে সম্প্রীতি তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে এবং পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান। আর খালেদা জিয়া ছিলেন দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন। দেশের যেকোনো উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে কথা বলা সম্ভব নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিয়ে যারা অপপ্রচার চালিয়েছিল, আজ তারা লন্ডনে বসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ সাইবার ও ইন্টারনেট সম্প্রসারণের বিষয়ে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এগুলোর মাধ্যমে আমাদের তথ্য পাচার হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধর্ম নিরপেক্ষতার মাধ্যমে বাঙালির বিভাজনকে দূর করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমান সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করে বিভাজনকে উসকে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তানি ভাবধারার নামের প্রবর্তন করা হয়েছিল।’
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম