ঢাকা: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, সরকারের সাফল্যে নির্ভর করে আমলাদের কর্মতৎপরতার উপর। কেননা সরকারের ভিতরের স্টিল ফ্রেম হচ্ছে আমালাতন্ত্র। দেওয়ালের ভিতরে যেমন লোহার ফ্রেম থাকে তেমনি সরকারের ভেতরের লোহার কাঠামো হচ্ছে আমলারা। তবে তাদের পরিচালিত করে রাজনৈতিক শক্তি। রাজনৈতিক শক্তি যেমন চান সেভাবে তারা কাজ করে। ঘোড়ার সাওয়ারের মতো রাজনীতিবিদরা আমলাদের পরিচালিত করে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘এসিআর পদ্ধতিতে অনেক সমস্যা আছে। যেমন সবাই এক্সেপশনাল পায়। এটা কীভাবে হয়। এক্সেপশনালতো একজনই হয়। জাজমেন্টে সমস্যা ছিল। এখন এপিএ পদ্ধতি অনেক ভালো।’ তিনি বলেন, ‘ফাইল ধরে রাখার একটা নিয়ম আছে। কিন্তু তা মানা হয় কি না সেটি বড় কথা।’
যারা শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন তারা হলেন- জাতীয় বেতল স্কেল ২ থেকে ১০ গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে শিল্প ও শক্তিশালী বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব নজিবুর রহমান। গ্রেড ১০ থেকে ১৬ এর কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিকল্পনা বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম এবং ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্যে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) অফিস সহকারী বেগম জুয়েলা শেখ। অফিস প্রধান হিসেবে শুদ্ধাচার পুরস্কান পেয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘এপিএর মাধ্যম নিজেকে নিজেই মূল্যায়ন করা যায়। যেসব কর্মকর্তা সঠিক সময়ে অফিসে এসেছেন, সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন, কর্মতৎপরতা ভালো ছিল- মূল্যায়ন করে তাদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।’