‘আমদানি কম’, রাজস্বও কম চট্টগ্রাম কাস্টমসে
৩০ জুন ২০২২ ২১:৩৭ | আপডেট: ১ জুলাই ২০২২ ০০:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সরকারি এই সংস্থাকে। এজন্য অভ্যন্তরীণ আমদানি কমে যাওয়াকে কারণ মনে করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে আদায় হয়েছিল ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার নুরউদ্দিন মিলন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা আছে ৩ হাজার ৮৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে পেট্রোবাংলার কাছে ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা, পদ্মা অয়েল কোম্পানির কাছে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কাছে ২৮ কোটি ৪০ লাখ, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েলের কাছে ৫৭ লাখ, সামিট এলএনজির কাছে ৫ কোটি ১১ লাখ, এক্সিলারেট এনার্জির কাছে ১৩ লাখ ও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে ৩৪ কোটি ২১ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।
‘বকেয়া রাজস্ব যদি আমরা আদায় করতে পারতাম, তাহলে রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়াত ৬৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। বকেয়াসহ অতিরিক্ত আদায় হত ১১ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা এবং প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ। এখন বকেয়া বাদে অতিরিক্ত আদায় হয়েছে ৭ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা এবং প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ,’— বলেন নুরউদ্দিন মিলন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার এম ফখরুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাজস্ব আদায়কারী সব সংস্থাতেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল। আমরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারলেও আমাদের প্রবৃদ্ধি খারাপ নয়। এবার অভ্যন্তরীণ আমদানি অনেক কম হয়েছে। সেজন্য রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও বাণিজ্য পরিস্থিতি— সব মিলিয়ে আমদানি কমেছে, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও কমেছে। তবে এর মধ্যেও আমরা গতবছরের চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করেছি।’
সারাবাংলা/আরডি/টিআর