Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কেয়ারটেকার প্রশ্নে এক সুতাও ছাড় হবে না: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ জুন ২০২২ ২৩:০৮

ঢাকা: বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলে দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের দাবি জানিয়েছেন। এর জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘কেয়ারটেকার প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বাইরে এক সুতাও ছাড় হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তারা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দের উপর আনীত ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন। তারা নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

বিরোধী দলীয় সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি কি পাকিস্তানে থাকে যে, তাদেরকে নির্বাচনের জন্য হাত ধরে ডেকে আনতে হবে। তাদের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে। এখন কেয়ারটেকার সরকারের দাবি করছেন। কিন্তু এই প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বাইরে এক সুতাও ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেয়ারটেকার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নিয়েছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সিইসি ও চারজন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দলীয় দুইজন সংসদ সদস্য বিগত নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ তারাই ওই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে এই সংসদে এসেছেন। তারা এই সংসদে নিয়মিত কথা বলেছেন। আমেরিকাসহ বিশ্বের কোথাও বলার সুযোগ নেই শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’

এর আগে, আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বিগত দশ বছরে নির্বাচনি ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচন করে না। নির্বাচন করে স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন ও জনপ্রশাসনের ব্যক্তিরা। সার্চ কমিটির মাধ্যমে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারা তো এই গ্রহরেই মানুষ, অন্য গ্রহ থেকে তো নিয়ে আসেননি। তাই সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।’

সংসদে কি রুমিন ফারহানার কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলব: আইনমন্ত্রী

 

বিএনপির আরেক সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দেশে যদি নির্বাচনই না থাকে, মানুষ যদি তার ভোটই প্রয়োগ না করতে পারে, মানুষ যদি তারপছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে, আগে থেকে যদি ব্যালটে বাক্স ভরা থাকে, দিনের ভোট যদি রাতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন দিয়ে হবে কি? এক কমিশনার বলেছেন মেশিনে কোনো সমস্যা নাই, সমস্যা হচ্ছে গোপন কক্ষে ডাকাত ঢুকে থাকে। এই ডাকাত যে শুধু দলীয় ক্যাডার তা নয়, এরমধ্যে আছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ডাকতদের যেভাবে পুরস্কৃত করা হয়, সেই পুরস্কার দেখে বোঝা যায় ভবিষৎতে আরও ডাকাত বাড়বে।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘একজন ডাকতের উদাহরণ হলো হেলালুদ্দিন সাহেব। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় যিনি নির্বাচন কমিশনে সচিব ছিলেন। তাকে পরবর্তিতে প্রাইজ পোস্টিং হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়। তিনি অবসরের ২৪ ঘণ্টা আগে ইউরোপ সফর করে আসেন। এভাবে যদি ডাকতদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়, তাহলে এই দেশে নির্বাচন কোন দিন সুষ্ঠু হবে না। বিনাভোটে সংসদ গঠন চলতেই থাকবে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মাত্র একজন এমপির হুমকি ধামকি এই নির্বাচন কমিশন সহ্য করতে পারেনি। বার বার তাকে অনুরোধ করা হয়েছে, চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাকে এলাকা থেকে সড়ানো যায়নি। নতজানু ও মেরুদণ্ড ভাঙা অবস্থা দেখে বোঝা যায়, এই ইসির অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।’

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘নির্বাচন করে কারা? নির্বাচন করে রাজনৈতিক দল। স্টেকহোল্ডার হচ্ছি আমরা যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। আমরা যদি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করি তাহলে ঘরে বসে নির্বাচন কমিশন কোন দিন কোন কিছু করতে পারবে না। ইভিএম বলেন, আর ব্যালট বলেন লোক যার বেশি সেই বিজয়ী হবে।’

জাতীয় পার্টির ডা. রস্তুম আলী ফরাজী বলেন, ‘নির্বাচন সঠিক হতে হবে, ফেয়ার হতে হবে। প্রশ্ন থাকতেই পারে নানা ব্যাপারে। ভারতে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, সেখানে কোনো প্রশ্ন তোলা হয় না। আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে ওই ধরণের পরিবেশ আসা দরকার। ডিজিটাল যুগে ইভিএম’র কোন দোষ নাই।’ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনে প্রভাব খাটানো বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

আইনমন্ত্রী কেয়ারটেকার কেয়ারটেকার সরকার টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর