Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মমতাজ-নিক্সনদের মনে মন্ত্রী হওয়ার খায়েশ জেগেছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ জুলাই ২০২২ ১৬:২২

ঢাকা: মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন মন্ত্রী হতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘মমতাজ-নিক্সনদের মনে মন্ত্রী হওয়ার খায়েশ জেগেছে’।

শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি  এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘বিনাভোটে বছরের পর বছর ধরে এমপি পদ উপভোগ করার পর মমতাজ-নিক্সনদের মনে হয়তো মন্ত্রী হওয়ার খায়েশ জেগেছে। কিন্তু তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বেশি লোভ ভালো নয়। রাষ্ট্রীয় টাকা খরচ করে সংসদে বসে এমন পাগলামি-খিস্তিখেউর অব্যাহত থাকলে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদনি জনরোষ থেকে বাঁচতে পুরো সরকারকেই জনচক্ষুর অন্তরালে চলে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংসদ অধিবেশন চলাকালে প্রতি মিনিটে রাষ্ট্রের ব্যয় প্রায় দুই লাখ টাকা। সুতরাং যেখানে বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাপীড়িত মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে, বেঁচে থাকার লড়াই করছে, সেখানে রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে সংসদে বসে কোনো এক শিল্পীর গান শোনা রীতিমতো মানবতার প্রতি অবমাননার সামিল।’

রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই— ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত নিশিরাতের গর্ভে যে সংসদের জন্ম দেওয়া হয়েছে, সেই সংসদকে এখন নতুন করে রঙ্গশালায় পরিবর্তন করেছেন। যে যার ইচ্ছামতো গান, কবিতা, খিস্তিখেউড় আর মিথ্যাচার চালিয়ে জনম্যান্ডেটহীন সংসদকে এরই মধ্যে রঙ্গশালায় পরিণত করেছে। সুতরাং সংসদ অধিবেশনের নামে গান, নাটক, কবিতা আর খিস্তিখেউর শোনার জন্য রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ না করে সেই টাকা বন্যার্তদের পেছনে খরচ করা এখন সময়ের দাবি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লুটেরা আর টাকা পাচারকারীদের দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করাই এই দলটির নেতা-মন্ত্রীদের একমাত্র কাজ। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি সম্পর্কে খোদ ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। অথচ ওবায়দুল কাদের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি সম্পর্কে কিছু না বলে নিয়মিত বিএনপি সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন।’

বন্যা পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বন্যা কবলিত। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জসহ ১৫টি জেলার ৯৫টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যা কবলিত মানুষরা চরম দুর্ভোগে হাবুডুবু খাচ্ছে। বন্যার করাল গ্রাসে তাদের সবকিছু ভেঙেচুরে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় পানি কিছুটা নামতেই মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে পেটের পীড়া-ডায়ারিয়া-কলেরা। নিজেদের বাড়িঘরের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে। কেউ কেউ এলাকায় ফিরে বিধ্বস্ত ও শূন্য ভিটা দেখে ডুকরে কেঁদে উঠছে। চারদিকে ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। সেদিকে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহিন, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ডা. জাহিদুল কবিরসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

রুহুল কবির রিজভী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর