শিক্ষিকার বহিষ্কার প্রত্যাহার ও সভাপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ

ভৈরব: জামালপুর টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে পদে বহাল এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামালকে কমিটির সভাপতির পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২ জুন) সকালে ক্লাস বর্জন করে স্কুল মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন কয়েকশত ছাত্রছাত্রী।

জানা যায়, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির রোষানলের শিকার হয়ে গত কয়েক বছর আগে সহকারী শিক্ষক মুনিরা সুলতানার স্বামী ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বহিষ্কার হয়। এরই জেরে গত বছর মুনিরা সুলতানাকেও বহিষ্কার করা হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, মুনিরা ম্যাডাম একজন ভালো শিক্ষক। শুধু সভাপতির আক্রোশের রোষানলের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মুনিরা ম্যাডামের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে পদে বহাল রেখে এবং বর্তমান সভাপতিকে কমিটি থেকে প্রত্যাহারের মাধ্যমে স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি শিক্ষার্থীদের।

এসময় শিক্ষিকার বহিষ্কারের বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের একটি অডিট টিম তদন্তে আসে। অডিট টিম স্কুলত্যাগের সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখেন । খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করেন।

ভুক্তভোগি শিক্ষিকা মনিরা সুলতানা জানান, তার স্বামীর সঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরোধের কারণে তাকে প্রধান শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকেও বিনা কারণে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার চান।

বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুন জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নানা কারণে শিক্ষিকা মনিরা সুলতানাকে বহিষ্কার করেছে। এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি টিম এসেছে তদন্ত করতে। এছাড়া মনিরা সুলতানাও জানতে এসেছেন তার বেতন-ভাতা বন্ধ কেন?

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তাফা কামাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অবুঝ, সব কিছু বোঝে না। তদন্ত টিম এসেছে, তদন্তের পর সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’

সারাবাংলা/এমও

অপসারণ দাবি বহিষ্কার প্রত্যাহার বিক্ষোভ শিক্ষিকা সভাপতি সভাপতির অপসারণ