Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১৬ বছর ধরে অচল এক্স-রে মেশিন

ডি‌স্ট্রিক ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট
৩ জুলাই ২০২২ ০৮:০৬

লালমনিরহাট: জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতাল, তিন তলা নতুন ভবন। সীমিত পরিসরে হলেও জিন-এক্সপার্ট এবং ডেল্টার সুবিধাও যোগ হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু চিকিৎসক সংকটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। প্রায় ১৬ বছর ধরে অচল এক্স-রে মেসিন। এছাড়া প্রয়োজনীয় আরও অনেক সরঞ্জাম না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ।

জানা গেছে, ৫০ শয্যার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চাহিদা অনু্যায়ী ২৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা। তবে বর্তমানে কর্মরত আছে মাত্র ১৩ জন। নেই সেল কাউন্টার মেসিন, নেবুলাইজার। এমনকি প্রায় ১৬ বছর ধরে অচল হাসপাতালটির এক্স-রে মেসিন।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের নতুন ভবন ও কিছু সরঞ্জাম যোগ হওয়ায় আগের চেয়ে বেশি সেবা পাচ্ছে রোগীরা। তবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় সব ধরনের দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটি সিজারের জন্যও এলাকার মানুষকে লালমনিরহাট শহর বা রংপুরে যেতে হচ্ছে। কালীগঞ্জ থেকে লালমনিরহাট শহর ও রংপুর প্রায় ৪০-৫০ কিলোমিটার। ফলে অনেক ঝুঁকি নিয়ে ও সময় ব্যয় করে রোগীদের ওই দুই শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে। এক্ষেত্রে অনেক সময় পথেও মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও রয়েছে চিকিৎসক সংকট। ফলে দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার সংকটাপন্ন রোগীর জীবন রক্ষা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক শাখার তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করতে তিন তলা নতুন ভবন নির্মাণ হয়। সম্প্রতি মেডিসিন ও অন্যান্য সুবিধা পেলেও শুরু থেকেই চিকিৎসক সংকটে রয়েছে হাসপাতালটিতে। তাই সেবার মান বৃদ্ধি করতে ২৯ জন চিকিৎসক চেয়ে চাহিদা পত্র পাঠিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো নতুন করে কোনো চিকিৎসক যোগদান করেনি। ফলে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবার চরম দুরবস্থার কথা স্বীকার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত কুমার রায় অজয় বলেন, ‘আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এর মধ্যে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসক সংকটের কারণে অল্প সংখ্যাক চিকিৎসক নিয়ে দায়িত্ব পালন ও সেবা দিতে চিকিৎসকদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসক চেয়ে আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চাহিদা দিচ্ছি। তারা শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় অনেক সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট অথবা রংপুর পাঠাতে হচ্ছে।’

লালমনিরহাট-২ এর সংসদ সদস্য হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তাই এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।

সারাবাংলা/এনএস

কালীগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক সংকট লালমনিরহাট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর