ফরিদপুরের বরকত-রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানি পেছাল
৩ জুলাই ২০২২ ১৩:৫৩
ঢাকা: ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানি তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৮ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (৩ জুলাই) মামলাটির চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষ চার্জগঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের আদালত পরবর্তী চার্জগঠন শুনানির জন্য নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ১২ জুন আসামি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আংশিক চার্জগঠন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওইদিন শেষ না হওয়ায় ৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অপর ৮ আসামি হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
আসামিদের মধ্যে মুহাম্মদ আলি মিনার, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম পলাতক রয়েছেন। নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিবুর রহমান ফারহান জামিনে আছেন। অপর ৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন। শুনানিকালে সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা চার্জশিট সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।
জানা গেছে, ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।
সারাবাংলা/এআই/এএম