Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পারিবারিক আদালত আইনের খসড়ায় অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ জুলাই ২০২২ ১৫:১৫

ঢাকা: জেলা পর্যায়ের সকল বিচারকদের পারিবারিক কলহের মামলা বিচারের সুযোগ রেখে পারিবারিক আদালত আইন-২০২২ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

রোববার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পারিবারিক আদালত আইনের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদসহ পারিবারিক কলহ এবং সন্তানদের নিয়ে ঝামেলা হলে জেলা পর্যায়ের সব বিচারকই এর বিচার করতে পারবেন। আগে শুধু জেলা জজ এ ধরনের মামলায় বিচার করতেন।

সচিব আইনের ব্যাখা দিয়ে বলেন, ‘আগের আইনটি সামরিক শাসনামলের। ১৯৮৫ সালে একটি ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স হয়, সেই অর্ডিন্যান্সে পারিবারিক বিষয়গুলো দাম্পত্য কলহ, তালাক, ম্যারিজ রেস্টোরেশন, শিশুদের ভরণপোষণ- এ বিষয়গুলো ছিল। এর আগে এ বিষয়গুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৪(৮৮)-তে বিবেচ্য হতো। হাইকোর্টের বিধিবিধান অনুযায়ী এটিকে (সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত করতে হবে, তাই এ আইনের খসড়াটি নিয়ে আসা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল মোটামুটি সেটাই আছে। এখানে ৩১টি ধারা আছে। বিবাহবিচ্ছেদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ আদালত বিবেচনায় নেবে।

তিনি বলেন, একটাই মূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা হলো- আগে ছিল যে আদালতে রায় হবে সেটার আপিল কর্তৃপক্ষ ছিলেন জেলা জজ। এখান সংশোধন এনে বলা হচ্ছে, জেলাপর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। শুধু জেলা জজ বললে ওনার ওপর একটু বেশি চাপ পড়ে যায়। সরকার যদি মনে করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজপর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরকেও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘আবার মামলার ক্ষেত্রে ফি যেটা ৫০ টাকা ছিল, সেটাকে ২০০ টাকা করা হয়েছে। কারণ ১৯৮৫ সালে কোর্টে মামলা করলে ৫০ টাকা দিতে হতো। যদিও বাড়িয়ে এখন যেটা করা হয়েছে, সেটাও অনেক কম। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটু অসহায় মেয়েরা এসে মামলা দায়ের করে সেটা বিবেচনা করে ফি বাড়ানো হয়নি।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এএম

পারিবারিক আদালত আইন মন্ত্রিসভার বৈঠক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর