১৩ লাখ ইয়াবার চালান আটক: ৪ বছর পর ‘কারবারি’ ধরা
৩ জুলাই ২০২২ ১৯:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের শীর্ষ ‘ইয়াবা কারবারি’ হিসেবে পরিচিত শওকত আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চার বছর আগে সাড়ে ১৩ লাখ ইয়াবার একটি চালান আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২ জুলাই) গভীর রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার মোহাম্মদ শওকত আলম (৪৫) হাটহাজারীর বাসিন্দা। নগরীর শুলকবহর এলাকায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।
২০১৮ সালের ৩ মে রাতে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার শান্তিবাগ শ্যামলী আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মো. আশরাফ (৪৮) ও তার ভাই মো. হাসানকে (২৪)। এ ঘটনায় হালিশহর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ১২ জন আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
পিবিআই কর্মকর্তা নাইমা সুলতানা সারাবাংলাকে জানান, নগর গোয়েন্দা পুলিশ আশরাফ ও হাসানের পর রাশেদ মুন্না নামে আরও একজনকে এ ঘটনায় গ্রেফতার করেছিল। আশরাফ ও রাশেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ইয়াবার চালানের সঙ্গে শওকতসহ চারজন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তদন্তে শওকতসহ চারজনের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় অভিযোগপত্রে তাদের আসামি করা হয়নি।
এ অবস্থায় আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গত ১৭ এপ্রিল পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্তে নেমে পিবিআই প্রথমে শওকতকে শনাক্ত করে এবং ঠিকানা সংগ্রহ করে তাকে গ্রেফতার করে।
শওকতকে একজন শীর্ষ ইয়াবা কারবারি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’১৩ লাখ ইয়াবার চালানটি মূলত মিয়ানমার থেকে এনেছিল আশরাফ ও তার ভাই হাসান। শওকতের দায়িত্ব ছিল চট্টগ্রাম নগরীতে সেটা মজুদ রেখে সেগুলো বিভিন্নভাবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আনা, সেখান থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছানো এবং চট্টগ্রাম থেকে বিতরণ- পুরো কাজই একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। আর এই নেটওয়ার্কের সদস্যদের মধ্যে একজন শওকত। চার বছর ধরে সে নিজেকে আড়ালে রেখে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করেছে। আমরা তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’
রোববার শওকতে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নাইমা সুলতানা।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম