Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনায় কার্বন নিঃসরণ শূন্যে আনার লক্ষ্য

স্পেশাল করেসপন্টেন্ড
৩ জুলাই ২০২২ ২১:২৮

ঢাকা: অর্থনীতি, জ্বালানি এবং পরিবেশ— এই তিন বিষয়ের সঙ্গে নিরাপত্তা সংযুক্ত করে সুষম উন্নয়ন এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ইমিশন নেট জিরো করার বিষয়গুলো থাকবে বিদ্যুতের হালনাগাদ মহাপরিকল্পনায়।

রোববার (৩ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনার অন্তবর্তী প্রতিবেদনের উপর দ্বিতীয় অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাইকার কারিগরি সহায়তায় প্রণয়ন হতে চাওয়া মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় জ্বালানির চাহিদা নিরুপণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সভায় বলা হয়, প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহজ্বালানি হিসেবে অ্যামোনিয়া, ২০৩৫ সালের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহজ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হবে বা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

টেকসই উন্নয়নকে লক্ষ্য রেখে আগের মহাপরিকল্পনা পর্যালোচনা, ২০৫০ পর্যন্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ চাহিদা, প্রাথমিক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, জ্বালানি সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, ২০৫০ পর্যন্ত জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের উপর ভিত্তি করে এনডিসি হালনাগাদ, সর্বপরি অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয় সভায়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ চেইন পুনঃপরীক্ষা করা উচিত। কৃষিতে সার ও জ্বালানির ব্যবহারে কৃচ্ছতা, পরিবহন খাতে, শিল্প বা আবাসিকে জ্বালানি তেলের সাশ্রয়ী ব্যবহার আমাদের জন্য কল্যাণকর । বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জ্বালানির মূল্য ক্রমবর্ধমান। সেজন্য ইউরোপ এখন কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের কার্বন ইমিশন খুবই কম। আমাদের ফুয়েল মিক্সে সাশ্রয়ী মূল্যের জ্বালানির অংশ বাড়ানো যেতে পারে। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই উদ্ভাবনাই সাফল্যের চাবিকাঠি। আমাদের থ্রি-হুইলার এক সময় হয়তো জ্বালানি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার ল্যান্ডমার্ক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।’

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাকি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হায়াকায়া ইউহো ও জাইকা স্টাডি টিমের প্রধান ইচিরো কুতানি বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

কার্বন নিঃসরণ বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর