Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শতাধিক জুমচাষি পরিবারকে উচ্ছেদের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩ জুলাই ২০২২ ২১:৫৮

রাঙ্গামাটি: জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নে সশস্ত্র হামলায় তিনজন নিহতের এক সপ্তাহ পর অবশেষে মুখ খুলেছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)। পিসিজেএসএস হামলার ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) দায়ী করেছে। যদিও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর কেএনএফ খুনের ঘটনার স্বীকার করে তাদের জেএসএস সন্ত্রাসী হিসেবে দাবি করে। আর পিসিজেএসএসের মন্তব্য, নিহতরা সাধারণ গ্রামবাসী। শতাধিক গ্রামবাসী উচ্ছেদের অভিযোগ এনেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩ জুলাই) জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয়সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেএনএফ নামক স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী বিশেষ গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক গত ২১ জুন জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে তিনজন নিরীহ ত্রিপুরা গ্রামবাসীকে হত্যা ও দুই শিশুকে গুলিবিদ্ধ করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়ন এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের অন্তর্গত তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ডজনখানেক গ্রামের হতদরিদ্র শতাধিক জুমচাষি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।

সজীব চাকমা বলেন, ‘বড়থলির সাইজাম পাড়ার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বড়থলি ও আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের দুর্গম এলাকার তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা পাড়াবাসীদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে অস্ত্রের মুখে হুমকি দিয়ে আসছিল। অন্যথায় সাইজাম পাড়ার ঘটনার মতো গুলি করে হত্যা এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভীত তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা পাড়াবাসীরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বিগত কয়েক মাস পূর্ব থেকে কেএনএফ’র সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী লুণ্ঠন করে আসছিল।’

জনসংহতি সমিতির দাবি, কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক সাইজাম পাড়ার হত্যাকাণ্ডের দায় প্রকাশ্য স্বীকার কর, এরপর ঘোষণা দিয়ে তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর একের পর এক গ্রাম উচ্ছেদ করার পরও সরকারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও রহস্যজনকও বটে।

বিজ্ঞাপন

এ পরিস্থিতিতে দ্রুতই কেএনএফ’র বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা, ভীত তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা গ্রামবাসীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান এবং তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানপূর্বক নিজ নিজ গ্রামে পুনর্বাসন করা, সাইজাম পাড়ায় নিহত ও আহত তঞ্চঙ্গ্যা পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান জন্য দাবি জানায় জনসংহতি সমিতি।

সারাবাংলা/এনএস

পার্বত্য চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর