পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: স্পিকার

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন ধরনের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার বহুমুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, হিজড়া, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন উন্নয়ন, আদিবাসী মেয়েদের বাইসাইকেল সরবরাহ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

রোববার (৩ জুলাই) স্পিকারের সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা হেকস/ইপার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোরা চৌধুরী স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় স্পিকার আরও বলেন, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীকে মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে চায়। এ লক্ষ্যেই রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশব্যাপী কার্যক্রম চলমান। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ পদক্ষেপের কারণে করোনা মহামারির সময়ও সবার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

সাক্ষাতে দু’জন বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, কোভিডকালীন বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও জীবনমানের নিরাপত্তার সুব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে ডোরা চৌধুরী বলেন, ২০০৬ সাল থেকে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে তৃণমূলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে মূল স্রোতে আনতে হেকস/ইপার কাজ করছে। বর্তমান সরকার আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এসময় তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সামাজিক উন্নয়নে সরকার সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পর্যায়ে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের কারণে সামাজিক বৈষম্য বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নারীসহ অন্যান্যদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

এসময় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এপিপিজি’র মহাসচিব শিশির শীল উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোরা চৌধুরী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকার হেকস/ইপার বাংলাদেশ