শিক্ষাই হবে পরবর্তী মেগা প্রকল্প: শিক্ষামন্ত্রী
৩ জুলাই ২০২২ ২৩:৪৯
শিক্ষাকে পরবর্তী মেগা প্রকল্প অভিহিত করে এই খাতে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন আনন্দের সঙ্গে শিখতে পারে, হাতে-কলমে জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং তা প্রয়োগ করতে পারে, শিক্ষা যেন বাস্তবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে, সেজন্য পাঠ্যক্রমসহ শিক্ষাধারায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। আমাদের নতুন পাঠ্যক্রমে শিক্ষার ফোকাসগুলো বদলে গেছে। মুখস্তবিদ্যা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের বাস্তবিক শিক্ষায় এগোতে হবে। ভবিষ্যতে শিক্ষায় বিনিয়োগ আরও বাড়বে। আমরা মনে করি শিক্ষাই হবে পরবর্তী মেগা প্রকল্প।
রোববার (৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি ‘আমরাও পারি’। পদ্মা সেতু নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে। চলমান আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবসহ বিশ্বময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যে পরিবর্তন ও অগ্রগতি হচ্ছে, তাতে আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরাও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে সফট স্কিল আমাদের সংস্কৃতির মধ্যেই ধারণ করতে মনোভাব স্থির করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে সামনে পরিবর্তনের বদলে রূপান্তর আসছে।
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া জীবনকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। নিজেদের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা কেউই প্রযুক্তির বাইরে নই। প্রযুক্তি যেভাবে এগোচ্ছে, আমাদেরও সেভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের উদ্ভাবন করতে হবে। উদ্ভাবনা ছাড়া আমরা এগোতে পারবো না। আমরাই উদ্ভাবন করতে চাই, আমরাই নেতৃত্ব দিতে চাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। চিফ প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।
সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. আফরোজা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বিশ্বাস।
সমাপনী পর্বে সম্মেলনের আউটকাম বা ফলাফল তুলে ধরেন অধ্যাপক ড. মো. আশিক উর রহমান। এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে চার জনকে ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড’ ও একজনকে বিডি স্টিম বেস্ট স্টুডেন্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। সমাপনী পর্বে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের রিফ্লেকশন অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালজয়ী মুজিবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সারাবাংলা/টিআর
আন্তর্জাতিক সম্মেলন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ডা. দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী