প্রেস ক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
৪ জুলাই ২০২২ ১৮:৪১
ঢাকা: রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে প্রেস ক্লাবের ব্যাডমিন্টন কোর্ট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ ব্যক্তির নাম গাজি আনিছ (৪৫)। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামে। তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।
গাজি আনিছকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া মোহাম্মদ আলী জানান, দগ্ধ ব্যক্তির কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, হেনোলাক্স নামে একটি কোম্পানিকে তিনি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বারবার চেয়েও সেই টাকা তুলতে পারেননি তিনি। সেই টাকা না পেয়েই আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, বিকেলে প্রেস ক্লাবের ভেতরে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে আমরা জেনেছি। তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তার মুখ ও দুই হাত দগ্ধ হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা তাকে দিচ্ছেন।
এদিকে, কুষ্টিয়ার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট সোহেল রানা জানিয়েছেন, নব্বইয়ের দশকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়তেন গাজী আনিস। ওই সময় কুষ্টিয়া বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে কলেজ পড়ার সময়ই হাজী আনিস ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯২ সালে তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের ২০১৪ সালের জেলা সম্মেলনে নির্বাহী সদস্যের দায়িত্ব পান।
জেলা ছাত্রলীগের আনিস-মেহেদী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, গাজী আনিস এক সংগ্রামের নাম। তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। যারা তার এই পরিণতির জন্য দায়ী, তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির বর্তমান সম্পাদক কমরেড হাফিজ সরকার বলেন, গাজী আনিস আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাণ্ডারি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেক অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করেও সংগঠনকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন।
সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর