Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জামদানি ও মসলিন বাংলাদেশের ঐতিহ্য, এতে বাঙালিত্ব প্রকাশ পায়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ জুলাই ২০২২ ২১:০০

ঢাকা: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, জামদানি ও মসলিন শাড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এতে বাঙালিত্ব প্রকাশ পায়। তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও তাঁতিদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।

সোমবার (৪ জুলাই) ঢাকার গুলশানে তাঁতিদের সরাসরি অংশগ্রহণে জামদানি প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘টানাপোড়েন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার উপস্থিত ছিলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় এদেশের তৈরি ঢাকাই মসলিনের সারাবিশ্বে কদর ছিলে। বিভিন্ন কারণে প্রায় ১৭০ বছর আগে এই গৌরবময় মসলিন হারিয়ে যায়। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশে ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে মসলিন সূতা তৈরির তুলার জাত উদঘাটন এবং তুলা দিয়ে ৭০০-১০০০ কাউন্টের সুতা তৈরিসহ মসলিন শাড়ি তৈরির প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে।’

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, “দেশের সাধারণ তাঁতিদের মাঝে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ স্থাপন করেছি। একটি মসলিন শাড়ি তৈরি করতে প্রথমে সূতা তৈরি করতে হয় এবং পরে বুনন কাজ চলে। একটি মাঝারি মানের মসলিন শাড়ি তৈরি করতে পাঁচ/ছয় মাস সময় লেগে যায়। ফলে শাড়ির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আমরা চেষ্টা করছি, বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকীয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে।”

তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এই সেতু অর্থনীতিতে নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির হার বাড়াবে। পদ্মা সেতুকে সামনে রেখে শিল্পায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।’ পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ১২০ একর জমির উপর ‘শেখ হাসিনা তাঁত পল্লি’ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পটির আওতায় তাঁতিদের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে সবধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। তাঁতিদের জন্য থাকবে আবাসিক ভবন, তাঁত শেড, ডরমেটরি, রেস্ট হাউজ, সাইবার ক্যাফে ও বিদ্যুতের উপকেন্দ্র। তাঁতপল্লিতেই সপ্তাহে দুই দিন তাঁতপণ্যের হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই হাটে সূতাসহ সবধরনের কাঁচামাল বিক্রি ও প্রদর্শন করা হবে। তাঁতের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি ও বিক্রি পর্যন্ত সব ব্যবস্থাই করা হবে।’

সারাবাংলা/পিটিএম

গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক জামদানি টপ নিউজ বাঙালিত্ব মসলিন শাড়ি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর