‘গোপনে সিল মারার অপসংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতেই ইভিএমে বিএনপির ভয়’
৬ জুলাই ২০২২ ০৯:৫৩
ঢাকা: ভোটকেন্দ্র দখল ও গোপনে সিল মারার অপসংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতেই বিএনপি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনকে (ইভিএম) ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমরা (ইভিএম ব্যবহারের) প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই (বিএনপি নেতারা) এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তার মানে উনারা চান যে ভোটকেন্দ্র দখল, সিলমারা, যেগুলো জিয়াউর রহমান সাহেব চালু করেছিলেন, সেই অপসংস্কৃতিটা থাকুক। সেই অপসংস্কৃতিকে যদি বন্ধ করতে হয়, ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু তারা এটাকে ভয় পায়।
বুধবার (৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠান ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত, কেউ তো জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারে না, জোর করে কেউ ক্ষমতায় যেতেও পারে না। যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে, তারা জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা ভাবেও না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন। তিনি বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন এবং জোর করে ক্ষমতায় ছিলেন। আমাদের সরকার জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আছে, পরপর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেই আমরা সরকার গঠন করেছি।
গত নির্বাচনে বিএনপি ডান-বাম, অতি ডান-অতি বাম সবাইকে নিয়ে জোট গঠন করে পাঁচটি আসন পায় বলে উল্লেখ করেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, আর শুধু ইভিএম নয়, বিএনপি তো সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায়। খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আর তিনি বলেছিলেন, এটি বসালে বাংলাদেশের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। এই বলে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সেই সাবমেরিন ক্যাবল পরবর্তী সময়ে শত শত কোটি টাকা খরচ করে আমাদের বসাতে হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেওয়ার কথা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, দুনিয়ার সব উন্নত দেশে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, এমনকি মালয়েশিয়াতেও হয়। আর আমাদের দেশে যখন আমাদের দল ইভিএমের মাধ্যমে ভোট করার প্রস্তাব দিয়েছে, (বিএনপি নেতারা) না করছেন। এটি আমরা না দিয়ে অন্য কেউ দিলে উনারা পছন্দ করতেন বলে আমার ধারণা।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. তাজুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/টিআর