সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ
৭ জুলাই ২০২২ ১৫:১৬
সিরাজগঞ্জ: প্রিয়জনের সঙ্গে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ছুটছে মানুষ। ইদকে ঘিরে গ্রামের বাড়িতে যেভাবে পারছেন ছুটছেন। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ ব্যক্তিগত যানবাহনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়। পরিবারের সঙ্গে ইদ করতে বাড়ি ফিরছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষ।
সোলেমান, মেরাজ, বক্কার, পারভিন, জেসমিন, শিল্পী নামের কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা গাজীপুরের একটি গার্মেন্ট ফ্যাকটরিতে চাকরি করেন। বাড়ি সিরাজগঞ্জে কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া গ্রামে। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সকাল ৬টায় গাজীপুর থেকে বাসে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তারা।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় যানজট কাটিয়ে সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় পৌঁছালাম এর মধ্যে কেটে গেছে প্রায় ৫ ঘণ্টা। এখান থেকে বাড়ি পৌঁছাতে আরো প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হবে তাদের। তারা আরও জানান, দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়ায় অভাবের সংসারের হাল ধরতে জীবিকার তাগিদেই ঢাকায় কাজ করতে হয় তাদের। সামান্য মাথা গোঁজার ঠাঁই ছাড়া আর গ্রামে কিছুই নেই তাদের।
বছরে দুই ইদে ছুটি পান তারা। ইদ ঘিরে বাড়ি ফিরতে নানা ধরনের ভোগান্তির পাশাপাশি খরচ করতে হয় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। অনেকে ভাড়া বাঁচাতে ট্রাকে করে রওনা দেন ঢাকা থেকে। এতে ভাড়া পড়ে ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। তারপরও সে যাত্রা নির্বিঘ্ন হয় না। ইদ উপলক্ষে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে থামানো হয় বাস ও ট্রাক। সেই সঙ্গে যানজট ও ধীরগতিতে চলে যানবাহন।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, বুধবার (৬ জুলাই) রাত থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে। তবে মহাসড়কের কোথাও যানজট বা ধীরগতি সৃষ্টি হয়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সকালে একটু গাড়ির চাপ ছিল। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকা স্বাভিবক রয়েছে।
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, ইদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা পুলিশের ৫৬৭ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা রাত-দিন পর্যায়ক্রমে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা গত ঈদের মতো যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সজাগ রয়েছি।
সারাবাংলা/একেএম