ঢাকা: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নামে রাখা হয়েছে প্রিয় গরুটির নাম। ৩ বছর ধরে পাবনার মজনু মিয়া লালনপালন করেছেন গরুটি। ২ দিন পর পবিত্র ইদুল আজহা। তাই দীর্ঘদিন ধরে পোষা গরুটি বিক্রি করতে রাজধানীর স্থায়ী গরুর হাট গাবতলীতে এনেছেন মালিক মজনু মিয়া।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটে কথা হয় পাবনা থেকে ৫টি গরু নিয়ে আসা মজনু মিয়ার সঙ্গে।গরুটির নাম কেন ‘পদ্মা সেতু’ দেওয়া হলো— জানতে চাইলে বলেন, ‘সবাই প্রিয় বিষয়টিকে সবসময় ভালোবাসে। এই গরুটিকে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে লালনপালন করছি। যখন কিনেছিলাম তখন দাম ছিল আড়াই লাখ। একদম একটা বাচ্চা কেনা ছিল। সেই বাচ্চা থেকে গরুটিকে বড় করে তোলা হয়েছে। আর পদ্মা সেতু যেমন সবার কাছে প্রিয় এবং অহংকারের। আমার কাছে এই গরুটিও প্রিয় আর অহংকার। তাই পদ্মা সেতু নাম দেওয়া।’
গরুটির ওজন আর দাম কত?— এমন প্রশ্নের জাবাবে মজনু মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘গরুটির ৪ দাঁত। গ্রামে ৯ লাখ টাকা দাম বলেছিল।ঢাকায় এসেছি আজ ২ দিন। এখন পর্যন্ত ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। গরুটি ২৫ মণের বেশি ওজন রয়েছে। বুঝতে পারছি না আসলে কি করব। গ্রামে বিক্রি করাই মনে হয় ভাল ছিল। হাটে সব বড় বড় গরু। আর ক্রেতারা দামই বলছে না। এখন শেষ পর্যন্ত বিক্রি করে যেতে পারব কি না বুঝতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫টি গরু এনেছি। আমার বাড়িতেই গরুর খামার রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে আমি প্রতি বছর গরু আনছি। আমার কাছে সবচেয়ে ছোট গরুটির দামও ৫ লাখ টাকার ওপরে। ৫টি গরুর সঙ্গে ১০ জন লোক এসেছি। প্রতিদিন ১০ জন মানুষের খাবার খরচ অনেক টাকা। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি।‘
এদিকে রাজধানীর স্থায়ী গরুর হাট গাবতলীতে বৃহস্পতিবার ক্রেতার সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। গতকাল বুধবারের (৬ জুলাই) চেয়ে হাটে গরু বিক্রিও বেশি। শুধু তাই নয়, হাটের ছোট এবং মাঝারি জাতের গরু অধিকাংশ বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এখন গাবতলীর হাটে বেশির ভাগ গরুই বড় বড় ও বিভিন্ন জাতের। ফলে অনেক ক্রেতা গাবতলীর হাটে গরু কিনতে এসে ফিরেও যাচ্ছেন।