‘গণতন্ত্র বানান করতে পারবেনা, অথচ তারা গণতন্ত্র চায়’
২১ এপ্রিল ২০১৮ ২৩:০৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
গণতন্ত্রের গ-ও বুঝেনা, গণতন্ত্র বানান করতে বললে পারবেনা, অথচ তারা আজ গণতন্ত্র চায়। যারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে তাদের কাছে মানবাধিকার শিখতে হবে? এভাবেই বিএনপি’র কড়া সমালোচনা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আয়োজনে ওয়েস্ট মিনিস্টারের সেন্ট্রাল হলে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছিলো শনিবার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের উদযাপন উপলক্ষে এই আয়োজন করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। এতে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী খ্যাতনামা সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল গাফফার চৌধুরী।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন, বর্তমানে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থানকারী তারেক রহমানেরও কঠোর সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশে মুচলেকা দিয়ে আসলো, রাজনীতি করবেনা। আর খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে দলের প্রধান করা হলো।
বিএনপিতে কি আর কেউ ছিল না? প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তারেক রহমান যে লন্ডনে বিলাসবহুল জীবন যাপন করে, বিলাস বহুল গাড়ী চালায়, টাকা কোথায় পায়? অসুস্থ হলে কেমন করে গাড়ী চালায়? এসব প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী।
হাই কমিশনে হামলা করার সাহস কোথায় পেলো? এই প্রশ্ন করে তিনি বলেন, যারা জাতির পিতার ছবি ভাংচুর করেছে, তারা কি চলাফেরা করেনা..?! প্রবাসীরা কি দেখেন না?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়া ভুলে গেছে তার মা দুর্নীতি করে জেলে গেছে। তার জন্য মামলা লড়তে হবে। আর কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, আমিতো রাজনৈতিকভাবে মামলা করিনি। তা হলেতো আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো মামলায় জেল হতো।
দেশের সম্পদ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে তারাতো দেশপ্রেমিক হতে পারে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধপরাধী ও তাদের পরিবারের মানবাধিকার যারা দেখে, তাদের বলতে চাই ৩০ লাখ শহীদের পরিবারেরও মানবাধিকার আছে। মানবাধিকার রক্ষার জন্য যারা কাঁদে, তাদের কাছে মানবাধিকারের অর্থ কি জানতে ইচ্ছা করে। তাদের কাছে মানবাধিকার মানে অর্থ । তারা ক্ষমতায় থেকে এতো টাকা কামাই করেছিল যে অর্থ দিয়েই এখন মানবাধিকার হচ্ছে।
কর্মসূচিতে আবদুল গাফফার চৌধুরীসহ অন্য বক্তরা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবদুল গাফফার চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ , মারুফ আহমেদ চোধুরী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ,যুক্তরাজ্য যুবলীগ এর সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু , সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ খান , লন্ডন মহানগর যুবলীগ এর তারেক আহমেদ , সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন সুমন , যুক্তরাজ্য আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি সাদ আহমেদ খান, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম বাচ্চু ,যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাল্টন তালুকদার যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ এর সভাপতি তামিম আহমেদ , ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত জয় , সহ সভাপতি সারোয়ার সহ প্রমুখ।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি অনিল দাশ গুপ্ত , সাধারণ সম্পাদক এম, এ,গনি , যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টা শামসুদ্দিন খান, জালাল উদ্দিন ,সাবেক ছাত্রনেতা আওয়ামী লীগ এর সাবেক সহ সম্পাদক প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া , সাবেক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল সিদ্দিকী , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন হিমু প্রমুখ।
এছাড়া ইউরোপ আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমান ,ফ্রান্স আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বেনজির আহমেদ সেলিম, সহ- সভাপতি এম,এ,কাশেম ,মনজুরুল হাসান চৌধুরী সেলিম , ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া , স্পেন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আখতার হোসেন ,সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম ,সহ সভাপতি বোরহান উদ্দিন ,হল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন তপন , বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল হক , সাধারন সম্পাদক চোধুরী জাহাঙ্গীর, সোহেল খান , আখতারুজ্জামান ,সুইডেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ড. ফরহাদ আলী খান , পর্তুগাল আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি রফিকুল্লাহ ,ইতালি আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীর ফরাজী , এম,এ রব মিনটু ফ্রান্স আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুজ্জামান সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
সারাবাংলা/এমএম/এমআইএস
আরও পড়ুন..
প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিল যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ