১৩২টি জলমহালের হস্তান্তরের সময়সীমা বাড়ল
৭ জুলাই ২০২২ ২২:০২
ঢাকা: হিলিপ প্রকল্পে হস্তান্তরিত ১৩৯টি জলমহালের মধ্যে ১৩২টি জলমহালের হস্তান্তরের সময়সীমা আগামী ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ভূমি মন্ত্রণালয়ের সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির সভায় মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
‘হাওর অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’ (হিলিপ) হাওর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসে ২০১২ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে হিলিপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জলমহালসহ বালুমহাল, খাসজমি, অর্পিত সম্পত্তি, হাটবাজার, চা-বাগান, চিংড়িমহাল এবং অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সব তথ্য ভূমি তথ্য ব্যাংকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে বন্দোবস্ত দেওয়া জমি, সায়রাত মহালের সব তথ্য, সরকারি ভূ-সম্পত্তি সংক্রান্ত সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া জমি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণেও ভূমি তথ্য ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সভায় ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, এখন কেবল নিবন্ধিত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, তথা প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই জলমহাল ইজারা পাচ্ছেন। কারণ, অনলাইনে জলমহাল আবেদন নেওয়ার পর মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন এবং ভূমি তথ্য ব্যাংক থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সভায় বলেন, ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণ করা সব জমি এবং সায়রাত মহাল সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে আপলোডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও খাস জমি/ভূ-সম্পদের প্রায় ৮২ শতাংশ উপাত্ত ভূমি তথ্য ব্যাংকে আপলোড করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সায়রাত মহাল শাখা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাভুক্ত হিলিপ প্রকল্পের কর্মকর্তারা। ইজারার জন্য প্রস্তাব করা জলমহাল সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকরা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
জালমহাল ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী হস্তান্তরের সময়সীমা হিলিপ প্রকল্প