শিডিউল বিপর্যয়, রাতের ট্রেন ছাড়ল সকালে
৯ জুলাই ২০২২ ১১:৩৮
ঢাকা: গত রোজার ইদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হলেও এবার কোরবানির ইদ অনেকটাই দুর্ভোগের। ইদ যাত্রার প্রথম দিন থেকেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শেষ দিন পর্যন্ত ঠেকেছে। সময়মত ট্রেন স্টেশনে না পৌঁছানোয় রাতের ট্রেন ছাড়তে হয়েছে সকালে। ফলে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (৮ জুলাই) থেকে প্রায় সবগুলো ট্রেন দেরিতে এসেছে আবার ছেড়ে গেছে দেরিতে।
শনিবার (৯ জুলাই) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়। জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সারারাতেও স্টেশনে আসেনি এই ট্রেন। রাত ৮টায় ছাড়ার কথা দ্রুতযান এক্সপ্রেসের। সেটাও স্টেশনে রাতে ফেরেনি। আজ সকালে এসে ৬টায় স্টেশন ছেড়ে গেছে।
আরও জানা গেছে, প্রতিটা ট্রেন ১ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি করে ছেড়েছে। ফলে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ট্রেন স্টেশনে না আসায় সকালে দ্রুতযান এক্সপ্রেসে উঠতে গিয়ে অনেকের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের যাত্রী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘পৌনে ১১টায় ট্রেন ছাড়বে বলে ১০টার মধ্যে স্টেশনে চলে এসেছি। ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে সারারাত প্লাটফর্মে কাটিয়েছি।’ আরেক যাত্রী নেহাল আহমেদ জানান, ‘ট্রেন কখন আসতে পারে এমন তথ্য স্টেশন কর্তৃপক্ষও জানাচ্ছে না।’
এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার সারাবাংলাকে জানান, গতকাল যাত্রা পথে কয়েকটি ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়া কিছু সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। তবে এখন সে সমস্যা কেটে যাচ্ছে।
তবে ময়মনসিংহগামী বলাকা এক্সপ্রেস, জামালপুর কমিউটার, চট্টগ্রামগামী ট্রেন সোনার বাংলা, তিস্তা এক্সপ্রেস, এগারোসিন্ধুসহ পশ্চিমাঞ্চলের অনেক ট্রেন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দেরি করে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে।
শনিবার (৯ জুলাই) ইদ যাত্রার শেষ দিন। এদিন কমলাপুর স্টেশনে ছিল ঘরমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ (শনিবার) স্টেশনে যাত্রীদের এত চাপ থাকার কথা না। গতকাল শুক্রবার রাতে বেশ কয়েকটি ট্রেন না আসায় হাজার হাজার যাত্রী স্টেশনে রাত কাটিয়েছেন। সকালে যেসকল ট্রেন ছেড়ে গেছে সেগুলোতে প্রচুর ভিড়। স্টেশনে ট্রেন আসা মাত্র যাত্রীরা ওঠার জন্য হুমরি খেয়ে পড়ছেন। কেউ উঠছেন জানালা দিয়ে।
উল্লেখ্য, এবার যাত্রীদের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত ছয় জোড়া ট্রেন ও এক জোড়া বিশেষ ট্রেন ছাড়াও ভারতের সঙ্গে চলাচলকরা তিনটি ট্রেনের র্যাক ইদে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস