Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লোডশেডিংয়ের মূল কারণ দুর্নীতি: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ জুলাই ২০২২ ১৩:২১

ঢাকা: বিদ্যুৎখাতের সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১০ জুলাই) দুপুরে ইদুল আজহা উপলক্ষে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের মূল কারণ হলো দুর্নীতি। পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে- টেন্ডার হয়নি, আন্তর্জাতিক টেন্ডার হয়নি এবং আইন করা হয়েছে যে, যদি এখানে কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে কোনো প্রকার মামলা করা যাবে না। অর্থাৎ ইমডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। কোনো গভর্নমেন্টের ক্ষেত্রে, কোনো উন্নয়নের ক্ষেত্রে, কোনো সভ্য দেশে কোনো হতে পারে না।’

‘বিদ্যুৎ উৎপাদন কোনো পরিকল্পনা করে হয়নি। এখন গ্যাসের কথা বলছে, এলএনজি আমদানির জন্য এই সরকার গ্যাস উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা করেনি। তারা বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে একটি দুইটি কম্পানিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশকে লুট করার জন্য সমস্ত পরিকল্পনা তারা করেছে। প্রকৃতপক্ষে এই সরকার একটা লুটেরা সরকারে পরিণত হয়েছে, আওয়ামী লীগ একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বলে আসছি যে, এই ‘অবৈধ‘, ‘অনির্বাচিত‘ সরকারের উন্নয়নের যে মিথ, যে ধোয়া তারা তোলে, এটা সম্পূর্ণ তাদের অন্য লক্ষ্য আছে। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা, পকেট ভারি করা। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের জনগণের কোনো উন্নয়ন হয়নি। আজকে এই দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে গেছে। আজকে শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুতের অবস্থা আপনারা দেখেছেন, যে বিদ্যুত নিয়ে তারা এতো বড়াই করেছে, সেই বিদ্যুত আজকে লোডশেডিং করতে হচ্ছে তিন ঘণ্টা, চার ঘণ্টা। আর যাতায়াত যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো অথরিটি আছে, কোনো কর্তৃপক্ষ আছে, সেটাই মনে হয় না। এ জন্য দুই ঘণ্টার পথ পুরো দিন লেগে গেছে। রেলের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দেড়ি করে যাওয়া, দেড়ি করে ছাড়া। আসলে মূল কথাটা হচ্ছে, এই সরকারের কোনো কর্তৃত্ব নেই। আমরা মনে করি যে, কোনো সুশাসন নেই, কোনো গর্ভনেন্স নেই। তাদের একটাই লক্ষ্য- দুর্নীতি করা এবং প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।’

‘আমরা আজ প্রার্থনা করেছি, আল্লাহ যেন এই দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে সেই শক্তি দেন, যেই শক্তিতে মানুষ বলিয়ান হয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকার, যারা আজকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনকে কেড়ে নিয়েছে, তাদেরকে পরাজিত করে সত্যিকারে একটি জনগণের পার্লামেন্ট, জনগণের সরকার এবং সত্যিকার অর্থেই মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পার্লামেন্ট গঠন করতে পারে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এএম

বিএনপি মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর