তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র বাবুল সুপ্রিয়
১০ জুলাই ২০২২ ১৭:১৩
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে দলটির জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, দলত্যাগের পর বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আসন থেকে জয়লাভ করে বিধায়ক হন বাবুল। এরপরই তাকে নতুন করে মুখপাত্রের দায়িত্ব দিল তৃণমূল।
রোববার (১০ জুলাই) বাবুল সুপ্রিয় নিজেই সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, তিন নেতাকে দলের জাতীয় মুখপাত্রের তালিকায় নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে, সেই তালিকায় তিনিও রয়েছেন।
এদিকে, জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়ে খুশি বাবুল সুপ্রিয়। মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে তিনি লেখেন, মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির প্রতি কৃতজ্ঞতা। জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব যথার্থভাবে পালনের চেষ্টা করবেন তিনি।
My Sincere gratitude to Hon'ble Didi @MamataOfficial & @abhishekaitc for appointing/including me in the illustrious Team of National Spokespersons of @AITCofficial • Shall do my very best to live up to the responsibility entrusted upon me
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) July 10, 2022
অন্যদিকে তৃণমূল সূত্র জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলের বিস্তার বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই বাবুলকে জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর হঠাৎই দল পরিবর্তন করেন বাবুল। মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বিজেপি ছেড়ে চলে আসেন তৃণমূলে। দল তাকে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিধানসভা উপ নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়। সেখানেই বড় জয় পেতে বিধায়ক হন বাবুল। অনেকেই ভেবেছিলেন তাকে মন্ত্রী করা হবে, তবে দল এখন তাকে জাতীয় মুখপাত্র করল।
শুধু বাবুল একা নন। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও দুটি নাম। কীর্তি আজাদ ও মুকুল সাংমা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। তারপর কংগ্রেস ঘুরে তৃণমূলে আসেন তিনি।
অপরদিকে, মেঘালয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল সাংমাকে জাতীয় মুখপাত্র করা হল। তিনিই মেঘালয়ে কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলের হাত শক্ত করেন। ১২ বিধায়ক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে তৃণমূলের এই পদক্ষেপ জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম