বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সাংবাদিক সালমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা
১০ জুলাই ২০২২ ১৮:৫৮
কুমিল্লা: কুমিল্লায় ইদের ছুটিতে এসে হত্যা চেষ্টার শিকার হয়েছেন যুগান্তরের সিটি রিপোর্টার এ কে সালমান। তাকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
আহত সাংবাদিক এ কে সালমান হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি দৈনিক যুগান্তরের রাজধানী পাতার রিপোর্টার।
শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সালমানকে ছুরিকাঘাত করে স্থানীয় সন্ত্রাসী মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ইমন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) খোরশেদ আলমের ফুফাতো ভাই।
হামলার ঘটনা জানিয়ে চান্দিনা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক এ কে সালমান। অভিযোগে তিনি বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ইমন নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) খোরশেদ আলমের ফুফাতে ভাই। বিভিন্ন সরকারি চাকরি ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এলাকার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ইমন। আমার পরিচিত ভুক্তভোগী কয়েকজন দেখা করে এ বিষয়ে আমার সহযোগিতা চান।
সালমান বলেন, ‘ইমন আমার গ্রামের ছেলে হওয়ায় ভুক্তভোগীরা ঢাকায় কর্মরত তার বড় ভাইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিতে বলে। আমি ইমনের বড় ভাই ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাই। তখন ইমনের বড় ভাই আমাকে বলেন, কারা কারা টাকা পাবে- এমন পরিচিত কেউ থাকলে তাদের মোবাইল নম্বর দেওয়ার জন্য। আমি তাদের নাম মোবাইল নম্বর দিলে ইমন বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।’
সালমান জানান, ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি গ্রামের বাড়িতে যান। শনিবার দুপুর দুইটার দিকে বাড়িতে গিয়ে সালমানকে ডেকে নেন ইমন।
সালমান বলেন, ‘আমি বাড়ির পাশে হাফেজিয়া মাদরাসার সামনে এলে ইমন তার কোমর থেকে ছুরি বের করে। ওই ছুরি আমার পেটে ঢুকিয়ে দিতে চায়। তখন আমি প্রাণ বাঁচাতে ইমনকে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় পেছন থেকে ধাওয়া করে ইমন আমার পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এতে পিঠের বাম পাশে এবং বাম হাতের কনুইর একটু ওপর কেটে চরম জখম হয়।’
তিনি বলেন, ‘আশেপাশে থাকা কয়েকজন দৌড়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। প্রথমে বাজারের একটি ফার্মেসি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। পরে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’
অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে চান্দিনার সার্কেল এসপি ফয়েজ ইকবাল বলেন, ‘থানা পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি অভিযুক্ত ব্যক্তি শিগগিরই ধরা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপাতত বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। আজকে ইদের চাপ আছে। তাই আগামীকাল লিখিত অভিযোগটি মামলা আকারে নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/একে