Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চামড়া সংগ্রহে গাউছিয়া কমিটি, ‘সিন্ডিকেট’ ভেঙে তছনছ

রমেন দাশগুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ জুলাই ২০২২ ২০:২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কোরবানির চামড়া কেনাবেচার চিরচেনা দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। অলিগলির মুখে কিংবা সড়কে কাঁচা চামড়া নিয়ে তরুণ-যুবকদের এবার তেমন দেখা মেলেনি। নগরীর যেসব স্পটে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা কোরবানির চামড়া এনে জমা করা হত, সেখানেও চামড়া দেখা গেছে অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক কম। নেই আগের সেই চেনা হাঁকডাকও। আড়তেও নেই আগের মতো ব্যস্ততা। এবার চামড়া কেনাবেচার পরিস্থিতি অনেকটাই সুশৃঙ্খল দেখা গেছে।

চট্টগ্রামে চামড়ার বাজারে এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অঙ্গ সংগঠন গাউছিয়া কমিটি। সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবক কয়েক হাজার মাদরাসার ছাত্র এবার ট্রাক নিয়ে নগরীর বিভিন্ন অলিগলি এমনকি ঘরে ঘরে গিয়ে কোরবানির কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। কোরবানি দাতাদের অধিকাংশই বিনামূল্যে চামড়া দিয়েছেন তাদের। এর ফলে দৃশ্যত ‘একদিনের চামড়া ব্যবসায়ী’ বা মৌসুমি সংগ্রহকারী-আড়তদার এবং তাদের প্রতিনিধি সিন্ডিকেটকে হটিয়ে এবার চট্টগ্রামের চামড়ার বাজারের বড় নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে সুন্নী মতাদর্শে বিশ্বাসী সংগঠন গাউছিয়া কমিটি।

চট্টগ্রামে কোরবানির কাঁচা চামড়ার বাজার প্রতিবছর ‘চার হাত চক্রে’ নিয়ন্ত্রণ হতো। কোরবানি দাতাদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করতেন এলাকার উঠকি তরুণ-যুবকরা, যাদের মৌসুমি সংগ্রহকারী বলা হয়। তারা কয়েকজন মিলে ৫-৬টি করে চামড়া সংগ্রহ করতেন। তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে নিতেন বড়-মাঝারি মানের ব্যবসায়ীরা, যারা শুধু কোরবানির সময়ই চামড়া কিনতে বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন এবং সেই চামড়া বিক্রি করেন আড়তদারের কাছে। সেই ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া বিক্রি করতেন আড়তদারের প্রতিনিধির কাছে। প্রতিনিধির কাছ থেকে চামড়া যেত আড়তদারের ডিপোতে।

তবে সেই ‘চার হাত চক্র’ ২০২০ সাল থেকে ভেঙে যায়। ২০১৯ সালে আড়তদার ও তাদের প্রতিনিধিরা ‘অস্বাভাবিক দরপতন’ ঘটিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনা বন্ধ রেখেছিলেন। এতে কাঁচা চামড়া সড়কে ফেলে দিয়ে তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল। এর পরের বছর মৌসুমি সংগ্রহকারীর সংখ্যা অর্ধেকেরও কমে নেমে আসে। কাঁচা চামড়ার বাজারের ওপর প্রায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন আড়তদার ও তাদের প্রতিনিধিরা। ২০২০ সালেও মৌসুমি সংগ্রহকারীদের একই কৌশলে চামড়া ফেলে যেতে বাধ্য করা হয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল থেকে কাঁচা চামড়ার বাজারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আসে আড়তদার ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে।

চট্টগ্রাম নগরীর পাড়া-মহল্লা থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে আনা হয় নগরীর চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ঈদগাহ বৌবাজারসহ বিভিন্ন স্পটে। সেখান থেকেই আড়তদারের প্রতিনিধিরা কিনে চামড়া নিয়ে যান আড়তে। চৌমুহনী এলাকায় প্রতিবছর দুপুর থেকে মৌসুমি সংগ্রহকারীদের ব্যাপক ভিড়-হাঁকডাক থাকত। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন।

কোরবানির পর রোববার (১০ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র তিনজন চামড়া সংগ্রহকারী শ’তিনেক চামড়া নিয়ে বসে আছেন। মাঝে মাঝে রিকশা কিংবা ভ্যানে করে ২-৩টি করে চামড়া নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন এবং বিক্রি করে চলে যাচ্ছেন। বিকেল ৪টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র ১৬টি চামড়ার স্তূপ। সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার চামড়া আছে। অথচ গতবছরও এইসময়ে চৌমুহনীতে আড়তদারদের জন্য চামড়া সংগ্রহকারীর সংখ্যা ছিল শতাধিক। চামড়া সংগ্রহের পরিমাণ ছিল অর্ধলক্ষের কাছাকাছি।


চৌমুহনীতে যা কিছু চামড়া এসেছে সবই মহানগরীর ভেতরের। শুধুমাত্র একজনকে পাওয়া গেল যিনি সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি থেকে ৫৩ পিস গরুর চামড়া নিয়ে এসেছেন। মাঝারি সাইজের এসব গরুর চামড়া সর্বোচ্চ প্রতি পিস ৪০০ টাকায় কিনে বিক্রির জন্য এসেছেন বলে জানালেন রবিউল ইসলাম নামের সেই ব্যক্তি।

মোহাম্মদ শাহীন নামে একজন চামড়ার ক্রেতা জানালেন, তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে আসা এক হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। গড়ে প্রতি পিস তিনি ৫০০ টাকায় কিনেছেন।

চৌমুহনী এলাকায় চামড়ার বড় ক্রেতা চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতির সহ সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই বছর আমরা চামড়া কিনে লস খেয়েছি। যে দামে কিনেছি, সেই দামেও আড়তদারের কাছে বিক্রি করতে পারিনি। এবার ৪০০ পিস কিনেছি। ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে প্রতি পিস কিনেছি। কিন্তু বিক্রির জন্য পার্টি নেই। অন্যান্য বছর এসময় আড়তদারের লোকজন চামড়া নেয়ার জন্য এসে বসে থাকত। এবার নেই। এবার বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন- গাউছিয়া কমিটি, ইসলামী আন্দোলন, চরমোনাই পীরের লোকজন চামড়া নিয়ে গেছে। যারা কোরবানি দেন, তারা গত কয়েকবছর চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। অনেক চামড়া নষ্ট হয়েছে। এবার তারা মাদরাসা-মাজারভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনকে বিনামূল্যে চামড়া দিয়ে দিয়েছে।’

চট্টগ্রামে ছোট-বড় ২২৫টি আড়তে চামড়া সংরক্ষণ হয়। আড়তদার আছেন ৩৭ জন। অধিকাংশ আড়ত নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায়। কোরবানির দিন চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর থেকে আসা কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বেশি সমাহার ঘটে এই আতুরার ডিপো এলাকায়। ডিপোর বাইরে সড়কে লাখো চামড়ার হাতবদল হয়। হাজার-হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে।

কিন্তু এবার আতুরার ডিপোর পরিস্থিতিও ভিন্ন। বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি এবার গরু, মহিষ ও চাগল মিলিয়ে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের টার্গেট নিয়েছিল। কিন্তু রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাত্র ৫০ হাজারের মতো চামড়া আড়তে এসেছে বলে জানালেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি আবদুল কাদের। চামড়া সংগ্রহের পরিমাণ অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক কম বলে জানালেন তিনি।

আবদুল কাদের সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবার গাউছিয়া কমিটি বিভিন্ন মাদরাসার মাধ্যমে অনেক চামড়া সংগ্রহ করে ফেলেছে। সেজন্য আড়তে চামড়া কম আসছে। আমরা বলেছিলাম- গ্রামগঞ্জের চামড়া কোরবানির দিন নেব না। সেজন্য গ্রাম থেকে সেভাবে চামড়া আসেনি। সেখানেও মাদরাসার লোকজন গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করেছে। গাউছিয়া কমিটির কারণে এবার ফড়িয়ারা সুবিধা করতে পারেনি। বাজারে বিশৃঙ্খলা নেই। সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে, তার চেয়ে কম দামে আমরা চামড়া কিনতে পারছি। সেটা আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। আমরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে গরুর চামড়া এবার কিনতে পারছি।’

হঠাৎ চামড়ার বাজারে সংগঠিতভাবে গাউছিয়া কমিটির নিয়ন্ত্রণ কেন- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা জানা গেল, হাজী মোহাম্মদ আলী নামে একজন আড়তদার গাউছিয়া কমিটিকে চামড়া সংগ্রহে বিনিয়োগ করেছেন। চামড়া প্রক্রিয়াজাতও তত্ত্বাবধান করছেন তিনি। বিনিয়োগকারী পেয়ে গাউছিয়া কমিটি প্রায় সাত হাজার কর্মীকে মাঠে নামিয়ে দেয়, যাদের অধিকাংশই মাদরাসার ছাত্র। নগরীতে তাদের সাংগঠনিক ১৩টি থানা, ৪৭টি ওয়ার্ড এবং ৭০০ ইউনিট কমিটি আছে। প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটে এক বা একাধিক চামড়া সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হয়। ৭০টি ভাড়ার ট্রাক এবং ৩০টি নিজস্ব ছোট-বড় ট্রাকের মাধ্যমে নগরীর অলিগলি ও বাসাবাড়িতে গিয়ে কর্মীরা সংগ্রহ করেন কোরবানির চামড়া।

সংগ্রহ করা চামড়া জমা করে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে নগরীর বিবিরহাট এলাকায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার বিশাল মাঠে। সেখানে নগরীর ১৪ থানা এলাকা থেকে সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া রাখা হচ্ছে। বাকি দুই থানা পতেঙ্গা ও হালিশহর থেকে সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া রাখা হচ্ছে হালিশহরে একটি সুন্নিয়া মাদরাসার মাঠে। সেখানেও আলাদাভাবে লবণ দিয়ে চামড়াগুলো প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে।

রোববার বিবিরহাটে সুন্নিয়া মাদরাসার মাঠে গিয়ে দেখা গেল বিশাল কর্মযজ্ঞ। ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে কাঁচা চামড়া। সামিয়ানা ও ত্রিপল টানিয়ে পুরো মাঠ ঢেকে ফেলা হয়েছে। সেখানে আলাদা-আলাদা জোন করা হয়েছে প্রত্যেক থানার জন্য। গাউছিয়া কমিটির কর্মকর্তারা পুরো কর্মযজ্ঞ সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার কাজ তত্ত্বাবধান করছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিবিরহাটে মাদরাসার মাঠে এসেছে সংগ্রহ করা প্রায় ৫০ হাজার কাঁচা চামড়া। হালিশহর মাদরাসায় জমা হয়েছে আট থেকে দশ হাজার চামড়া। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম নগরী থেকে তারা প্রায় ৬০ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছেন। উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্থানীয়ভাবে আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের পরিচালনাধীন মাদরাসাগুলোতে চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে তারা প্রায় এক লাখ কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে পারবেন।

হঠাৎ চামড়ার বাজারে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই চামড়া সংগ্রহ করি। গতবছরও আমরা ৩৫ হাজারের মতো চামড়া সংগ্রহ করেছি। এবার আমরা সুসংগঠিতভাবে করছি। এর কারণ হচ্ছে, আমরা একজন ইনভেস্টর পেয়েছি। এছাড়া করোনায় মৃতদের লাশ দাফন, বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের লাশ উদ্ধার, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা যেভাবে সহায়তা করেছি, তাতে মানুষ আমাদের ওপর খুশি। সেজন্য আমরা এবার মানুষের ঘরে ঘরে গিয়েছি। তারা খুশি হয়ে তাদের কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়া আমাদের দিয়েছেন। আমরা যত চামড়া সংগ্রহ করেছি সব বিনামূল্যে, এক টাকাও আমাদের খরচ হয়নি। ইনশল্লাহ, আমাদের এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’

বিনিয়োগকারী চট্টগ্রামের আড়তদার হাজী মোহাম্মদ আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর ফড়িয়াদের কাছ থেকে চামড়া কিনি। এটা নিয়ে নানা ঝামেলা হয়। তারা বাজার না বুঝে বেশি দামে চামড়া কেনে, সেটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, আমাদের লস হয়। আবার বিভিন্ন মাদরাসায়-মাদরাসায় গিয়েও আমরা চামড়া কিনতাম। সেটাতেও নানা ঝামেলা হয়। সেজন্য এবার গাউছিয়া কমিটিকে বলেছি তারা যেন বেশি পরিমাণে চামড়া সংগ্রহ করে। তারা যত চামড়া সংগ্রহ করবে সব আমি কিনব। গাউছিয়া কমিটিকে আমি লবণ ও শ্রমিক সাপ্লাই দিয়েছি।’

সরকার এবার ঢাকায় লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা আর ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা দর নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়া সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়ার প্রতি বর্গফুটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। বকরির চামড়ার দর ১২ থেকে ১৪ টাকা।

আড়তদার আবদুল কাদের সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বর্গফুটের চামড়ার জন্য আমাদের ১৬ থেকে ২০ টাকা খরচ হচ্ছে। আমরাও ভালো দামে কিনতে পারছি। যারা বিক্রি করছেন তারাও দাম ভালো পাচ্ছেন। আশা করি, এবার কাউকে চামড়া বিক্রি না করে রাস্তায় ফেলে চলে যেতে হবে না।’

আতুরার ডিপোর আড়তে সোমবারও কাঁচা চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের কাজ চলবে। একমাস পরে ট্যানারি থেকে প্রতিনিধিরা এসে প্রক্রিয়াজাত করা শুকনো চামড়া যাচাই করবেন। এরপর সেই চামড়া বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আড়তদারেরা।

আড়তদারেরা যদিও বলছেন এবার কোরবানি কিছুটা কম হয়েছে, তবে এতে দ্বিমত আছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় চট্টগ্রামে এবার মোট আট লাখ ২১ হাজার পশু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। এর মধ্যে গরু পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৩, মহিষ ৬৬ হাজার ২৩৭, ছাগল ও ভেড়া এক লাখ ৮৯ হাজার ৬২ এবং অন্যান্য ৯৯টি পশু।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, এবার চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলা মিলিয়ে আট লাখের বেশি কোরবানি হয়েছে। অন্য বছরের চেয়ে কোরবানি এবার অনেক বেশি হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সাত লাখ ৪২ হাজার ৪৫৫টি পশু কোরবানি হয়েছিল।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

কোরবানির চামড়া চামড়া কেনাবেচা চামড়া সংগ্রহ বন্দর নগরী চট্টগ্রাম বন্দরনগরী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর