৭ ঘণ্টায় নগর সাফ— দাবি চসিকের
১০ জুলাই ২০২২ ২২:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে টানা ৭ ঘণ্টা কার্যক্রম চালিয়ে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। সংস্থাটির দাবি, এ সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্যের ৯০ শতাংশ অপসারণে তারা সক্ষম হয়েছেন। তবে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে অলিগলিতে এখনও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে সেগুলো অপসারণের কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ৭ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। রোববার (১০ জুলাই) দুপুরে মেয়র রেজাউল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দেখেন।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতবছরের মতো এবারও যাতে আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোরবানি বর্জ্য অপসারণ করতে পারি সেজন্য সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, পরিচ্ছন্ন বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, যান্ত্রিক বিভাগের সমন্বয়ে টিমওয়ার্কের পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। ইনশাল্লাহ সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সাত ঘণ্টার মধ্যেই আমরা নগরীতে কোরবানির বর্জ্য প্রায় অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। পুরো শহর পাঁচটি ভাউচারের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে পরিস্কার করা হয়েছে। ১১টি ভ্রাম্যমাণ টিম আছে। কোথাও পশুর নাড়িভুঁড়ি, রক্ত, বর্জ্য পড়ে থাকার খবর পাওয়ামাত্র তারা সেখানে গিয়ে পরিস্কার করছে।’
চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে কাজ শুরু করে আমরা বিকেল ৪টার মধ্যে ৯০ ভাগ বর্জ্য অপসারণ করেছি। তবে প্রথম দুই ঘণ্টা আমরা শুধুমাত্র বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি থেকে খড়কুটো, গরুর মলমূত্র সেগুলো অপসারণ করেছি। সকাল ১১টা থেকে মূল কাজ শুরু হয়েছে। কারণ জবাই করা পশু প্রসেস হয়ে বর্জ্য পেতে কিছুটা সময় লাগে। আমরা প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছি।’
‘কিন্তু সমস্যা হচ্ছে- কসাই সংকটের কারণে অনেকে দুপুরের পর পশু কোরবানি দিয়েছেন। অনেক এলাকা পরিস্কার করে আসার পরও আবার কোরবানির কারণে বর্জ্য জমা হচ্ছে। আবার বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি থেকে সন্ধ্যার পরও গরুর কান, মাথা, লেজের অংশ ফেলা হচ্ছে। সেগুলো অপসারণে আমাদের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে রাত দশটার মধ্যে শতভাগ করে ফেলতে পারব বলে আশা করি।’
রোববার বিকেলে নগরীর টাইগার পাস, কদমতলী, আমবাগান, চৌমুহনী এলাকার মূল সড়কগুলো ঘুরে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। সড়কগুলো অনেকটাই পরিচ্ছন্ন দেখা গেছে। কিছু এলাকায় গলির ভেতরে রাস্তায় গরুর মাথার বিচ্ছিন্ন অংশবিশেষ, জিহ্বার অংশ, রক্ত, লেজের অংশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রক্তমাখা চাটাইও পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে একইসঙ্গে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সেসব র্বজ্য অপসারণে কাজ করতেও দেখা গেছে।
কাউন্সিলর মোবারক আলী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ৩৪৫টি গাড়ি নিয়ে ৫ হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছেন। তদারকিতে আছেন ১১০ জন কর্মকর্তা।
এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগরীকে ছয়টি জোনে ভাগ করে ছয়জন কাউন্সিলর মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। নগরীর উত্তর-দক্ষিণের ২২ টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হয়েছে নগরীর আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে। পতেঙ্গা-বন্দর এলাকার বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হয়েছে হালিশহরে আবর্জনাগারে।
সারাবাংলা/আরডি/এমও