৮ ঘণ্টার মধ্যেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে— দাবি ডিএনসিসি’র
১০ জুলাই ২০২২ ২৩:৪৯
ঢাকা: রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করে রোববার (১০ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তার আগেই ৮ ঘণ্টার মাঝে কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ।
ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে এখন মোট ১২ লাখ ৪৭হাজার পশু কোরবানি হয়। এতে প্রায় নয় হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি কর্মকর্তারা।
রোববার (১০ জুলাই) সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।
এদিন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সরাসরি তদারকি করেন। দুপুরে ওয়ার্ড ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট সাতটি স্থান ঘুরে দেখেন তিনি।
পরে মিরপুর ২ নং সেকশনের ৬ নম্বর রোডের নুরানি মসজিদ সংলগ্ন স্থান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়। এর ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমে আসে।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ডিএনসিসির তিনটি ওয়ার্ডের ৯টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হওয়ায় সর্বপ্রথম ০৭নং ওয়ার্ডে দুপুরের মধ্যেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।’
সচেতন নাগরিকরা বর্জ্য অপসারণ কাজে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে তিনি দুইদিনের মধ্যে নগরবাসীকে কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। এসময় ডিএনসিসি মেয়র আগামীকালও বর্জ্য বিভাগকে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করার নির্দেশনা দেন।
মিরপুর এলাকা পরিদর্শন শেষে মেয়র আগারগাঁও, নাখালপাড়া, মগবাজার, খিলগাঁও তালতলা এলাকাসহ অন্যান্য এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত ১২ ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনসিসি দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাত সাড়ে ৯টায় আট ঘণ্টরও কম সময়ে বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে আজ ইদের দিনে ১২ লাখ ৪৭হাজার পশু কোরবানি হয়েছে এবং প্রায় নয় হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টির শতভাগ অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৪টি ওয়ার্ডের সকল বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করা হয়েছে এবং সেগুলো ল্যান্ডফিলে ট্রান্সফার করা হচ্ছে।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম। এছাড়াও এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতা পেলে, আমরা আশা করি খুব শিগগিরই সব বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।’
সারাবাংলা/এসবি/এমও