‘নিউটন-পিথাগোরাস সব মিথ্যা’
১১ জুলাই ২০২২ ১৫:১৮
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে বিজেপি’র জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন সুপারিশ কমিটি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান মদন গোপাল বলেছেন, মাধ্যাকর্ষণ এবং পিথাগোরাসের উপপাদ্যের শিকড় রয়েছে বৈদিক অংকে! এ নিয়ে গুগলেও অনেক তথ্য আছে। পিথাগোরাসের উপপাদ্য এবং নিউটনের মাধ্যকর্ষণ তত্ত্বের ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার (১১ জুলাই) কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী তিন ভাষায় (ইংরেজি, স্থানীয় ভাষা এবং সংস্কৃত) শিক্ষা দিতে হবে। অর্থনীতিতে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, মহাভারতের শান্তিপর্ব এবং প্রাচীন ভারতের হিসাব পরীক্ষা পদ্ধতি, জীববিজ্ঞানে ত্রিদোষ তত্ত্ব, ভূগোলে পৌরাণিক আমলের ভূগোল পড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে, মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল শুধু স্বাধীন-স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করা নয়; একইসঙ্গে শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রে চূড়ান্ত বর্ণবাদী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মোদি দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে সেই পরিকল্পনা গতি বেড়েছে। এবার জাতীয় শিক্ষানীতিতে পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপক রদবদলের নানা প্রস্তাব সেই আশঙ্কাই বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে শিক্ষাবিদরা শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানাচ্ছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
ভারতের শিক্ষাবিদদের অনেকেই বলছেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড গড়ে তোলে। মোদি সরকার সেই মেরুদণ্ডই ভেঙে দিতে মরিয়া। সে কারণেই নতুন করে ইতিহাস লেখার হুঙ্কার ছাড়েন মোদি মন্ত্রিসভার ‘নম্বর-টু’ অমিত শাহ। কর্ণাটকেই স্কুলপাঠ্যে গান্ধী, আম্বেদকর, নেহেরুর লেখা সরিয়ে ঠাঁই পায় আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ার, হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক সাভারকরের লেখা।
এদিকে, কোনো সমালোচনাই আমলে নিচ্ছে না বিজেপির সেই টাস্কফোর্স। তাদের দাবি, সবই বৈদিক গ্রন্থে আছে।
সারাবাংলা/একেএম