লঘুচাপে অনাবৃষ্টি, বর্ষণ নিয়ে আসছে শ্রাবণ
১৩ জুলাই ২০২২ ১৫:০৫
ক্যালেন্ডার বলছে, আজ ২৯ আষাঢ়। সে হিসাবে আষাঢ়ের বিদায় সমাগত। তবে এখনো বর্ষার প্রাণজুড়ানো বৃষ্টির দেখা মেলেনি দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। সেইসঙ্গে রোদের দাপটে বোঝা দায়— দিনগুলো বর্ষাকালের নাকি গ্রীষ্মের! বলা যায়, বর্ষার বর্ষণের দেখা মিলতে না মিলতেই শেষ বর্ষাকালের প্রথম মাস আষাঢ়।
জলবায়ু পরিবর্তনের পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে সুখবর দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। তাদের তথ্য বলছে, উড়িষ্যা উপকূলের অদূরবর্তী উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি কেটে গেলেই শুরু হবে বর্ষার দাপট।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, উড়িষ্যা উপকূলের লঘুচাপের কারণেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে খুব একটা বৃষ্টি এখনো হয়নি। লঘুচাপটি কেটে গেলে আগামী শনিবার (১৬ জুলাই) অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকেই বাড়বে বৃষ্টির প্রবণতা। বর্ষণে ভিজবে উত্তরের জনপদ। প্রাণ ফিরে পাবে বর্ষা।
এর আগে আবহাওয়া অফিসের ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উড়িষ্যা উপকূলের অদূরবর্তী উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত ও সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর একটি বর্ধিতাংশ পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি ধরনের সক্রিয় রয়েছে।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
রাজশাহী, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সারাবাংলা/এএম/টিআর