Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বন্যায় ইদ: পর্যটক নেই সিলেটে

বিলকিস আক্তার সুমি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুলাই ২০২২ ২০:৫৫

সিলেট: ইদের ছুটিতে সিলেটে পর্যটক আসবে না; সে উদাহরণ বিরল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট। এখনো মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন অনেকেই। পানি নামলেও ঘরবাড়ি হারানো মানুষদের ফেরার জায়গা নেই। এই অবস্থায় এবারের ইদে সিলেটে বাইরের পর্যটকদের আসতে দেখা যায়নি। সিলেটের স্থানীয়রাও ভ্রমনপিপাসু, তারা পর্যন্ত ঢুঁ মারেননি পর্যটন এলাকাগুলোতে।

পর্যটক কম কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পর্যটন স্পট সাদাপাথরের পাশ্ববর্তী ভোলাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান নোমান জানিয়েছেন, ‘এবার তো সবাই বন্যায় বিপর্যস্ত। ইদ এসেছে বন্যার মধ্যে। এ কারণে মানুষের মনে সুখ নেই। পানিবন্দি ইদে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারেননি। এছাড়া, সিলেটের বাইরের পর্যটকরাও আসেননি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান- ‘রোজার ইদে সাদাপাথরে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিলো। এবারের ইদে এক হাজার মানুষও আসেনি।’

এদিকে এবারের ঢল সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমেই ঢল আঘাত হেনেছিল সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, সাদাপাথর এলাকায়। ঢলের সঙ্গে ওপর থেকে বালি এসে ভরাট করে দিয়েছে উৎসমুখ। ফলে শুষ্ক মৌসুমে এলাকাটি পানিশূন্য হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

সাদাপাথর এলাকার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন- ‘ঢলে সাদা পাথরের কয়েকটি স্থাপনা ভেসে গেছে। বালি এসে ভরাট করে দিয়েছে নদীর তলদেশ। এ কারণে এবার যেসব পর্যটক আসছেন তারা ভোগান্তিতে পড়ছেন। শুষ্ক মৌসুমের আগে নদী খননের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’

সিলেটের প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়েও এবার নেই তেমন পর্যটক। গত তিন দিনে মাত্র হাজারখানেক পর্যটক বেড়াতে গেছেন। তীব্র গরমের কারণে তারা বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি জিরো পয়েন্ট এলাকায়। এবার জাফলংয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে টোল আদায়ও করা হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

জাফলংভিউ রেস্টুরেন্টের মালিক সানি আহমদ জানিয়েছেন, ‘এবার ইদে পর্যটক নেই বললেই চলে। আমাদের অনেক প্রস্তুতি ছিলো। পর্যটক না আসায় লোকসানে রয়েছে ব্যবসায়ীরা।’

গ্রীন রিসোর্টের সত্ত্বাধিকারী বাবলু বখত জানিয়েছেন, ‘রমজানের পর ইদে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছিল জাফলংয়ে। এবার অনেক আগেই পর্যটন এলাকাগুলো থেকে পানি নামলেও বন্যার কারণে আসছেন না পর্যটকরা। এছাড়াও, স্থানীয় লোকজনও এবার কমে এসেছে। যেসব পর্যটক আসছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই পর্যটন এলাকা ঘুরে বেড়াতে পারছেন।’

বিছনাকান্দি এলাকায় মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সফর করে এসেছেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম। তিনি জানিয়েছে, ‘বন্যায় সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে পর্যটকদের যাতায়াতের ব্যাঘাত ঘটছে। যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে অনেক পর্যটক বিছনাকান্দিমুখী হচ্ছেন না।

একইসঙ্গে, রাতারগুলেও এবার পর্যটক নেই। ওই সব এলাকার পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২ দিনে আয় ২৮৯ কোটি টাকা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩২

মৌসুমী হামিদের সংসার যেমন চলছে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২৬

সম্পর্কিত খবর