এরশাদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি পরিবারের সদস্যরা
১৪ জুলাই ২০২২ ১১:৪৯
ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই)। এ উপলক্ষে সকাল ৮টায় দলের মহাসচিব ও কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা অল্প সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তবে সেখানে দেখা যায়নি এরশাদের পরিবারের সদস্যদের।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক দেখা গেছে দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদেরের অনুপস্থিতি নিয়ে। সকাল সকাল তাকে দলের পার্টি অফিসে আশা করেছিলেন নেতাকর্মীরা। এমনকি এরশাদ পরিবারের ১০-১২ জন সদস্য দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরও তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হননি।
এতে করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা গেছে। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার আশায় দলে ঢুকেছেন। দলের প্রতি কারো শ্রদ্ধাবোধ নেই। এমনকি মনে রাখছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকেও। তাদের ভাষায় পরিবারতন্ত্র ঘিরে ফেলেছে জাপাকে। এরশাদের জাপা আর নেই।
এরশাদের পরিবারের যেসব দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তারা হলেন- জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শরিফা কাদের (জিএম কাদেরের স্ত্রী), যুব সংহতির আহ্বায়ক আসিফ শাহরিয়ার (এরশাদের ভাতিজা), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাকিব (জিএম কাদেরের নাতি), যুগ্ম আন্তর্জাতিক সম্পাদক আদেল এমপি (এরশাদের ভাগনে), ব্যারিস্টার সারা সাওলিন নিশা (এরশাদের ভাগনি বউ), জিএম কাদেরের ছেলে শাসম কাদের, জিএম কাদেরের উপদেষ্টা টুম্পা (এরশাদের ভাগনি)।
উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, এরা সবাই এরশাদ পরিবারের সদস্য। জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তারাও এই কর্মসূচিতে আসেননি। বরং ১ হাজার তেহারির প্যাকেট করা হয়েছে, যা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির উত্তরের নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
এ বিষয়ে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দলের চেয়ারম্যান (জিএম কাদের) বিকেল ৩টায় কাকরাইলের পার্টি অফিসে যাবেন। সকালে মহাসচিব দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন, প্রোগ্রামটি এভাবেই সাজানো হয়েছে।
জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যান অন্যদিকে এরশাদের আপন ছোট ভাই। সেই হিসেবেও তার শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া উচিত ছিল কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটা তো প্রতিকৃতি, কবর না।
আত্মীয় স্বজনরাও কেউ আসেননি কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই বিকেলে আসবে। আর এখানে যাওয়ার কী আছে। সিদ্ধান্তই হয়েছে মহাসচিব যাবেন।
দলের ৪১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ৩ জন এবং ২৬ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২ জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাপার অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মী এই শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।
এদিকে কাকরাইল পার্টি অফিসে সকাল থেকে কোরআন তেলাওয়াত চলছে। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান ট্যাপা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এএম