Wednesday 17 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দাবদাহে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিকের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুলাই ২০২২ ১৩:৩০ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ১৩:৫৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দিনাজপুর: জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে অতিরিক্ত দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত শ্রমিকের নাম সিরাজুল ইসলাম (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টায় কয়লা খনিতে এ ঘটনা ঘটে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) সুলতান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মৃত সিরাজুল ইসলাম পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের আইনুল হকের ছেলে। তিনি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসির এক্সএমসির অধীনে কয়লা উত্তোলনের কাজ করতেন।

বড়পুকুরিয়া খনি সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাত ১১টা থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টার শিফটে খনির ভূগর্ভে কাজ শেষ করে তার রুমে আসার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সহকর্মীরা সিরাজুলকে খনির ভিতরের হাসপাতালে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

খনি শ্রমিকেরা জানান, অতিরিক্ত তাপমাত্রার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়। কাজ শেষে আবার টিনের ঘরে থাকতে হয়, এতে করে তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন।

স্থানীয় খনি শ্রমিকরা জানান, গত ৩ জুন সিরাজুল ইসলামসহ ওই দলের শ্রমিকেরা খনিতে প্রবেশ করেন, সেখানে হোম কোয়ারেনটাইনে থেকে ১১ জুন থেকে কাজ শুরু করেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

খনি শ্রমিকদের অভিযোগ, সারাদেশে স্বাভাবিকভাবে সকল অফিস আদালত চললেও, কেবল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ খনিতে লকডাউন করে রেখেছেন। যার কারণে শ্রমিকরা মাসের পর মাস পরিবার পরিজনকে ছেড়ে খনির ভিতরে টিনের ঘরে গাদাগাদি করে অনেক কষ্টে বসবাস করে খনিতে কাজ করতে হচ্ছে। এতে তারা প্রায় সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ, বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন শ্রমিক সেরাজুল ইসলামের হিটস্টকে মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান জানান, মৃত শ্রমিক চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ছিলেন।

শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, খনিটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনা কোম্পানির অনুরোধে ও কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে খনি এলাকায় লকডাউন রাখা হয়েছে। কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে খনি এলাকা স্বাভাবিক করা হবে।

সারাবাংলা/এনএস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর