হালদার খালে ভেসে এল মরা ডলফিন
১৪ জুলাই ২০২২ ১৯:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে হালদা নদীর শাখা খালে মৃত অবস্থায় একটি ডলফিন ভেসে এসেছে। তবে সেটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার দক্ষিণ গহিরা ওয়ার্ডের বুড়িসর্তা খালে মৃত ডলফিনটি দেখা গেছে।
খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ঘটনাস্থলে যান।
ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, মৃত ডলফিনটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৮ ফুট থেকে ৯ ফুটের মতো। ওজন প্রায় ১২০ কেজি। সেটি পচে ফুলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এজন্য ডলফিনটি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেটি কখনও ডাঙায় আটকে থাকছে, কখনও পানিতে ভাসছে। মৃত্যুর কারণ এবং ডলফিনটির প্রজাতি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। সেটি উদ্ধারের জন্য রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
এ পর্যন্ত হালদা নদী ও শাখা খাল মিলিয়ে ৩৬টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মনজুরুল কিবরিয়া।
গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। তখন থেকে হালদা ও কর্ণফুলীতে মৃত ডলফিনের সংখ্যা গণনা শুরু হয়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয়মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০২১ সালে মোট ৫টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। চলতি বছরে তিনটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দুইটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। কর্ণফুলী ও হালদা নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
সারাবাংলা/আরডি/একেএম