পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ শুরু এ মাসেই: রেলমন্ত্রী
১৫ জুলাই ২০২২ ১৯:৫৪
মুন্সীগঞ্জ: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়ে গেছে। এই সেতু দিয়ে দুর্বার গতিতে ছুটে চলছে যানবাহন। এবার বাকি রয়েছে এই সেতুতে রেলপথ স্থাপনের প্রকল্পের কাজ। রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, এ মাসেই সেই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, বড় ধরনের একটি বাধা ছিল ব্রিজের ওপরে কাজ করার। আগামীকাল (শনিবার, ১৬ জুলাই) সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক আছে। আশা করছি, বৈঠক থেকে এ মাসে কিংবা এ সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিজের ওপর কাজ করার অনুমতি আমরা পাব।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মুন্সীগঞ্জে মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি ঢাকা-যশোর রেলসংযোগের হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য তিনটি ভাগে ভাগ করে কাজগুলো শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সে পরিকল্পনায় ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত একটি অংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত একটি অংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত একটি অংশ।
মন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৮০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৯১ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলসংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ করার পরিকল্পনার কথা জানালেন মন্ত্রী। বললেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করা হচ্ছে।
মন্ত্রীর পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রেল সংযোগ প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ছয় মাস সময় লাগবে। এসময় আমরা মনিটর করব (সড়ক পথে যানচলালের) ভাইব্রেশনের কোনো প্রভাব আছে কি না। সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নকশা অনুযায়ী ভাইব্রেশনের কোনো প্রভাব থাকবে না। তারপরও বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্যানেল পরীক্ষা করে দেখবে, প্রকৃতই তেমন কোনো প্রভাব পড়ে কি না।
পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ করার সময় সড়কপথে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, সেরকম হয়তো প্রয়োজন পড়বে না। তবে কিছু অপশন থাকতে পারে। যদি ভাইব্রেশন বেশি হয়, সেক্ষেত্রে গাড়ির গতিসীমা কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। অল্প সময়ের জন্য ট্রাফিক বন্ধও করতে হতে পারে। পরামর্শক দলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হবে।
রেলমন্ত্রীর পরিদর্শনে অন্যদের মধ্যে রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর
নুরুল ইসলাম সুজন পদ্মা সেতু পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রী