Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংহতি জোরদারের আহ্বান

সারাবাংলা ডেস্ক
১৫ জুলাই ২০২২ ১৮:৫৮

বহুমুখী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার ও সমন্বিত সাড়াদান প্রক্রিয়া গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

তিনি বলেন, গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের একজন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটের ধরন, মাত্রা ও প্রভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশ্বিক সাড়াদান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ) ২০২২ উপলক্ষে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শুক্রবার এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, জাতিসংঘ দফতরে গোলটেবিল বৈঠকটির শিরোনাম ছিল ‘২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির অর্জন ত্বরান্বিত করা: চলমান সংকট মোকাবিলা ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা’। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো পরস্পর সম্পর্কিত বিভিন্ন সংকটের প্রভাবের পাশাপাশি অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের প্রভাব বৈঠকে তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও যে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তা বাংলাদেশ দেখাতে সক্ষম হয়েছে। সরকার অর্থনীতিকে সচল রাখতে ২২ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। এছাড়াও, ভ্যাকসিনের জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতীয় তথ্যভাণ্ডার, এসডিজি ট্র্যাকার ও স্থানীয়করণের প্রচেষ্টাগুলো এসডিজি বাস্তবায়নকে  ত্বরান্বিত করার পথ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ গৃহীত উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনকেন্দ্রিক অভিযোজন কৌশলের ওপর আলোকপাত করে প্রতিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সংহতি ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় জোর দেন। বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলা ও সংকট ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘের নেতৃস্থানীয় সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, বহুপাক্ষিক দাতা এবং বেসরকারি খাতকে সদস্য দেশগুলোর জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থন জোগানো, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, যেন তারা টেকসই, ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে পারে।

এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রী খালিদ নাজিম, অ্যান্ডোরার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া উবাচ আই ফন্ট, ডোমিনিকা’র পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, টেকসই উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মন্ত্রী ড. ভিন্স হেন্ডারসন, দক্ষিণ আফ্রিকার পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন মন্ত্রী মন্ডলি গুঙ্গুবেলে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফেডারেল মন্ত্রী ক্যারোলিন, জাতিসংঘে নিযুক্ত টোঙ্গার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ভিলিয়ামি ভাইঙ্গা টোন এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত টুভালুর স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েলু লালোনিউ’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

এসব বৈঠকে ২০২২-২৩ মেয়াদে মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

জাতিসংঘ সদর দফতর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর